গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকারকে ভোট দেয়নি। তাই এধরনের সরকারকে ভারতের কংগ্রেস শসিত সরকারের পক্ষ থেকে সেদিন সমর্থন দেয়া ঠিক হয়নি। এটা ছিল ভারতের রাজনৈতিকভাবে ভুল। এটা বিভ্রান্তিকর। কারণ তারা বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে সমর্থন দেয়নি। তারা একটি দল, সেটি হলো আওয়ামী লীগ। এই দলের কথা চিন্তা করেই ঐ নির্বাচনে আসীন সরকারকে সমর্থণ দেয় ভারত।
বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারার উদ্যোগে সেগুনবাগিচাস্থ কচিকাঁচার আসর মিনায়তনে শুক্রবার এক ইফতার মাহফিলে বি চৌধুরী একথা বলেন।
বি চৌধুরী বর্তমান সরকারকে সর্তক করে দিয়ে বলেন, এদের বুঝা উচিত তাদেরকে সমর্থণ দেয়া ভারতের সেই কংগ্রেস সরকারও এখন ক্ষমতায় নেই। তাদের পতনের পর (কংগ্রেস) এদেরও (বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার) বোধোদয় হওয়া উচিত। তিনি বলেন, অদুর ভবিষ্যতে জনসমর্থন না পেয়ে এধরণের সরকারের পতন হবে।
অনুষ্ঠানে ইফতার মাহফিলে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী কয়েকজন কর্মকর্তা বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক নেতবৃন্দের কাছে গতকালের ঐ অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। এবিষয়টির উল্লেখ করে বি. চৌধুরী সরকারী কর্মচারীদের নিরপেক্ষ থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, দেশের যারা সরকারী চাকুরী করেন তারা নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আগেও ছিলেন তারা। এখনো থাকতে হবে। এই সরকারই শেষ সরকার নয়। অচিরেই জনগণের সরকার প্রািতষ্ঠা হবে দেশে। কারণ বি. চৌধুরী দশম সংসদ নির্বাচনে শতকরা ৫/১০ ভাগ ভোটের উল্লেখ করে বলেন, ১৫৪ আসনে মানুষকে ভোট দিতে দেয়া হয় নাই। তিনি বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ার কারণে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে বিরোধীদলকে একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দেলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানান। তবে তিনি অহিংআন্দোলনে তার সব ধরণের সমর্থণ থাকবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান, বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নূরুল আমিন বেপারী, বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারার শাহ আহমদ বাদল ও বিএম নিজাম বক্তব্য রাখেন।