খুনের কথা স্বীকার করেছে ছিনতাইকারী ইমরান

বাংলার মুখোমুখি

গাজীপুর: টঙ্গী ফ্লাইওভারে ছিনতাইকারীর ছুঁড়িকাঘাতে নিহত সিদ্দিকুর রহমানকে খুনের কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত ছিনতাইকারী ইমরান(৩০)।

রবিবার(৭ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব-১ উত্তরা সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তার ছিনতাইকারী ইমন গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ির কড্ডা কালাকৈর এলাকার ইউনুস তালুকদারের ছেলে।

সম্মেলনে বলা হয়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান (৫৬) নিহত হওয়ার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরানকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৬ টায় টঙ্গীর কুখ্যাত মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে র্যাব বলছে, সকাল অনুমানিক ৬ টা থেকে ৭ টার মধ্যে টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ফ্লাইওভারের উপরে অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরান ভিকটিম সিদ্দিকুর রহমানের পথরোধ করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আসামী ইমরান তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সিদ্দিকের বাম হাতের উপরে অংশে তিনটি আঘাত করে। এরপর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময়, ছুরিকাঘাতের ফলে ছিটকে পড়া রক্ত ইমরানের জুতায় লেগে যায়। আসামী দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তার ছুরি এবং রক্তমাখা জুতো জোড়া ঘটনাস্থলের সিঁড়িতে ফেলেই টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তিতে আশ্রয় নেয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভিকটিম সিদ্দিক ঘটনাস্থলের নিচে সিঁড়ির কাছেই মারা যান। উক্ত ঘটনার পরে অভিযুক্ত ইমরান কোনাবাড়ী, গাজীপুর এলাকায় যায় এবং ওই দিনই আবার মাজার বস্তিতে ফিরে এসে আত্মগোপন করে। ছিনতাইকৃত মোবাইলটি সে মাজার বস্তি এলাকায় এক হাজার টাকায় বিক্রয় করে।

র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( মিডিয়া অফিসার) মোঃ রাকিব হাসান, পিপিএম-সেবা জানায়, উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে ছিনতাইকারীর ব্যবহৃত ছুরি ১টি এবং আসামীর ১ জোড়া জুতা। বর্তমানে আসামী ইমরান র‌্যাব-১ এর হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়াধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *