বাংলাদেশে সাজা হলে যুক্তরাজ্যে যে পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন টিউলিপ

Slider সারাবিশ্ব


পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

আগামীকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুর্নীতির এ মামলার রায় হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্রিটিশ এমপি ও সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের ১০ বছরের সাজা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৪৩ বছর বয়সী টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার মা, ভাই ও বোনকে শেখ হাসিনার মাধ্যমে প্লট পাইয়ে দিয়েছেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এ নিয়ে খবর প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। এরপর সিটি মিনিস্টারের পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।

সংবাদমাধ্যমটি আজ রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যদি টিউলিপ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত এবং দীর্ঘ সাজাপ্রাপ্ত হন তাহলে ব্রিটিশ এমপির পদ ছাড়ার চাপে পড়বেন তিনি।

গত ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পরও একই রকম চাপে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রিত্ব ছেড়ে সেবার বেঁচে যান। টিউলিপ যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেটের এমপি।

রূপপুরের দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যেই সামনে আসে যুক্তরাজ্যে একটি ফ্ল্যাট নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন টিউলিপ। তিনি বলেছিলেন, বাবা-মায়ের থেকে ফ্ল্যাটটি পেয়েছেন। কিন্তু আসলে আওয়ামীপন্থি এক নেতার কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নিয়েছিলেন তিনি। ঘুষ হিসেবে তিনি এটি নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও এরপর ব্রিটিশ সরকারের এক অভ্যন্তরীণ তদন্ত জানায়, টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে মিথ্যাচার করে মন্ত্রিত্বের কোনো ধারা লঙ্ঘন করেননি।

এদিকে বাংলাদেশে টিউলিপের মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কয়েকজন ব্রিটিশ আইনজীবী। তারা বলেছেন, এ মামলা স্বচ্ছ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাছে একটি চিঠিও দিয়েছেন তারা।

টিউলিপ মামলা ও আইনজীবীদের চিঠির ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

সূত্র: ডেইলি মেইল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *