নেতাদের পদত্যাগ ঠেকাতে লন্ডন থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৎপর রয়েছেন। শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের পর সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে তারা ফোনালাপ করেছেন। তারা দলে ওই নেতাদের অবদানের কথা স্বীকার করে ভবিষ্যতে দলকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে কিভাবে সঙ্কট উত্তোরণ করা যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ চেয়েছেন।
এদিকে আর যেন হঠাৎ করে কোন সিনিয়র নেতা দল থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিকে আরও বেকায়দায় ফেলতে না পারেন সে ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে বিএনপিপন্থী কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর সঙ্গেও লন্ডন থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ফোনালাপ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আসছে মঙ্গলবার লন্ডনে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তিনি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করে ক্ষুব্ধ নেতাদের দলে সক্রিয় করার চেষ্টা করবেন।
এদিকে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা দলের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ‘টাইম টু টাইম’ লন্ডনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে অবহিত করছেন। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্মমহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ কিছু নেতা এ দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর হঠাৎ পদত্যাগ করা এবং এ দলের রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বিরূপ মন্তব্য করায় দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ কারণে দলের অনেক নেতাকর্মীর মনোবল ভেঙ্গে যায়। বিশেষ করে শমসের মবিন চৌধুরীর নিজ জেলা সিলেটের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশি বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশ পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছুটে যান সিলেটে। তিনি সিলেটের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। নিখোঁজ দলীয় নেতা ইলিয়াস আলী গ্রুপ ও পদত্যাগী নেতা শমসের মবিন চৌধুরী গ্রুপের নেতাদের নিয়ে একসঙ্গে বসে তিনি কিছু কর্মকৌশলও নির্ধারণ করে দেন। তবে মির্জা ফখরুলের চেষ্টা সাময়িক সফল হলেও দীর্ঘদিন ধরে দ্বিধাবিভক্ত সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরা যে কোন সময় অতীতের মতো আবারও পরস্পরের বিরুদ্ধে ফুসে উঠতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
জানা যায়, শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের পর রাজধানী ঢাকা ও সিলেট ছাড়াও আরও কয়েকটি সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, বগুড়া, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, যশোর, রাজশাহী ও খুলনাসহ কয়েকটি সাংগঠনিক জেলা। এসব জেলা নেতাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখছেন বিএনপির কিছু কেন্দ্রীয় নেতা।
বর্তমানে দলে নিষ্ক্রিয় এক সময়ের সংস্কারপন্থী নেতাদের প্রতিও কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। লন্ডন থেকে নির্দেশনা পেয়ে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ওয়ান-ইলেভেনের সময় যেসব নেতারা সংস্কারের নামে খালেদা জিয়াকে দল থেকে মাইনাস করতে তৎপর ছিলেন তাদের দিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন। কোন কোন কেন্দ্রীয় নেতা গোপনে বিভিন্ন জেলা সফর করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়া দেশে ফেরার আগে যেসব সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ না হবে সেসব জেলা কমিটি কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেয়ার যে আগাম ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সে অবস্থান থেকে এখন কেন্দ্রীয় নেতারা সরে এসেছেন। এখন ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৫ সাংগঠনিক জেলা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা পেয়ে জেলা নেতারা আবারও নতুন করে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিএনপির একটি অংশ চেয়েছিল ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিকে সামনে রেখে আবারও জোরালো আন্দোলনের কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামতে। কিন্তু শমসের মবিনের পদত্যাগের পর তারা সে অবস্থান থেকে সরে দল সামলানোর দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছে। তবে তারা চাচ্ছে বড় আন্দোলনে যেতে না পারলেও নির্বাচনের দিনে অন্তত এক দিনের জন্য হলেও কোন একটি আন্দোলনের কর্মসূচী রাখতে। তবে তারা চাইলেও সবকিছু নির্ভর করছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মনোভাবের ওপর।
বিএনপি সূত্র জানায়, ২ বিদেশী হত্যায় দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের পর বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলের একটি অংশ খালেদা জিয়াকে দ্রুত লন্ডন থেকে দেশে ফেরার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ৭ নবেম্বরের আগেই খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ইতোমধ্যেই বলেছেন, ৭ নবেম্বরের আগেই খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসবেন এবং ৭ নবেম্বর জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবেন। তবে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন ৭ নবেম্বরের আগে খালেদা জিয়া দেশে নাও ফিরতে পারেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, শমসের মবিন চৌধুরীর মতো আর কেউ দল থেকে হঠাৎ পদত্যাগ করে কিনা, সে বিষয়টি বিএনপির পর্যবেক্ষণে আছে। তবে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে যে কেউ তার রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ করতেই পারেন। অবশ্য শমসের মবিন চৌধুরী তার পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তাই এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না।
বিএনপির মধ্যমসারির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হঠাৎ শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগ নিঃসন্দেহে দলের জন্য দুঃসংবাদ। তবে আর যেন কেউ এভাবে পদত্যাগ না করতে পারে সে জন্য লন্ডন থেকে দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৎপর রয়েছেন। ইতোমধ্যেই তারা ফোন করে কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথাও বলেছেন।
এদিকে আর যেন হঠাৎ করে কোন সিনিয়র নেতা দল থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিকে আরও বেকায়দায় ফেলতে না পারেন সে ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে বিএনপিপন্থী কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর সঙ্গেও লন্ডন থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ফোনালাপ করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আসছে মঙ্গলবার লন্ডনে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তিনি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করে ক্ষুব্ধ নেতাদের দলে সক্রিয় করার চেষ্টা করবেন।
এদিকে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা দলের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ‘টাইম টু টাইম’ লন্ডনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে অবহিত করছেন। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আব্দুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, যুগ্মমহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকনসহ কিছু নেতা এ দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর হঠাৎ পদত্যাগ করা এবং এ দলের রাজনীতি সম্পর্কে তিনি বিরূপ মন্তব্য করায় দলের ভেতরে-বাইরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ কারণে দলের অনেক নেতাকর্মীর মনোবল ভেঙ্গে যায়। বিশেষ করে শমসের মবিন চৌধুরীর নিজ জেলা সিলেটের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশি বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশ পেয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছুটে যান সিলেটে। তিনি সিলেটের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন। নিখোঁজ দলীয় নেতা ইলিয়াস আলী গ্রুপ ও পদত্যাগী নেতা শমসের মবিন চৌধুরী গ্রুপের নেতাদের নিয়ে একসঙ্গে বসে তিনি কিছু কর্মকৌশলও নির্ধারণ করে দেন। তবে মির্জা ফখরুলের চেষ্টা সাময়িক সফল হলেও দীর্ঘদিন ধরে দ্বিধাবিভক্ত সিলেট বিএনপির নেতাকর্মীরা যে কোন সময় অতীতের মতো আবারও পরস্পরের বিরুদ্ধে ফুসে উঠতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
জানা যায়, শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের পর রাজধানী ঢাকা ও সিলেট ছাড়াও আরও কয়েকটি সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীদের প্রতি নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, বগুড়া, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, যশোর, রাজশাহী ও খুলনাসহ কয়েকটি সাংগঠনিক জেলা। এসব জেলা নেতাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখছেন বিএনপির কিছু কেন্দ্রীয় নেতা।
বর্তমানে দলে নিষ্ক্রিয় এক সময়ের সংস্কারপন্থী নেতাদের প্রতিও কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। লন্ডন থেকে নির্দেশনা পেয়ে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ওয়ান-ইলেভেনের সময় যেসব নেতারা সংস্কারের নামে খালেদা জিয়াকে দল থেকে মাইনাস করতে তৎপর ছিলেন তাদের দিকে তীক্ষè দৃষ্টি রাখছেন। কোন কোন কেন্দ্রীয় নেতা গোপনে বিভিন্ন জেলা সফর করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলেও সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে খালেদা জিয়া দেশে ফেরার আগে যেসব সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ না হবে সেসব জেলা কমিটি কেন্দ্র থেকে চাপিয়ে দেয়ার যে আগাম ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সে অবস্থান থেকে এখন কেন্দ্রীয় নেতারা সরে এসেছেন। এখন ডিসেম্বরের মধ্যে ৭৫ সাংগঠনিক জেলা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা পেয়ে জেলা নেতারা আবারও নতুন করে কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিএনপির একটি অংশ চেয়েছিল ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তিকে সামনে রেখে আবারও জোরালো আন্দোলনের কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামতে। কিন্তু শমসের মবিনের পদত্যাগের পর তারা সে অবস্থান থেকে সরে দল সামলানোর দিকে বেশি মনোযোগী হয়েছে। তবে তারা চাচ্ছে বড় আন্দোলনে যেতে না পারলেও নির্বাচনের দিনে অন্তত এক দিনের জন্য হলেও কোন একটি আন্দোলনের কর্মসূচী রাখতে। তবে তারা চাইলেও সবকিছু নির্ভর করছে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মনোভাবের ওপর।
বিএনপি সূত্র জানায়, ২ বিদেশী হত্যায় দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের পর বিরাজমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় দলের একটি অংশ খালেদা জিয়াকে দ্রুত লন্ডন থেকে দেশে ফেরার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ৭ নবেম্বরের আগেই খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ইতোমধ্যেই বলেছেন, ৭ নবেম্বরের আগেই খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসবেন এবং ৭ নবেম্বর জিয়ার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাবেন। তবে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন ৭ নবেম্বরের আগে খালেদা জিয়া দেশে নাও ফিরতে পারেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, শমসের মবিন চৌধুরীর মতো আর কেউ দল থেকে হঠাৎ পদত্যাগ করে কিনা, সে বিষয়টি বিএনপির পর্যবেক্ষণে আছে। তবে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে যে কেউ তার রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ করতেই পারেন। অবশ্য শমসের মবিন চৌধুরী তার পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তাই এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না।
বিএনপির মধ্যমসারির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হঠাৎ শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগ নিঃসন্দেহে দলের জন্য দুঃসংবাদ। তবে আর যেন কেউ এভাবে পদত্যাগ না করতে পারে সে জন্য লন্ডন থেকে দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৎপর রয়েছেন। ইতোমধ্যেই তারা ফোন করে কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথাও বলেছেন।