সম্প্রতি যমুনা রেলসেতুর পিলারের নিচে দেখা দেওয়া ক্ষুদ্র ফাঁকা স্থানগুলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এগুলো আসল ফাটল নয় বরং প্রচণ্ড গরমের কারণে সৃষ্ট সূক্ষ্ম ‘হেয়ারক্র্যাক’ বা চুলাকৃতি ফাঁকা।
যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মার্ক হ্যাবি বলেন, রেলসেতুর পশ্চিম প্রান্তের আট থেকে দশটি পিলারের নিচে হেয়ারক্র্যাক শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব জায়গায় রেজিন বা বিশেষ আঠার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি কোনো ধরনের নির্মাণ ত্রুটি নয়, এমনকি ‘হানিকম্ব’ সমস্যাও নয়। প্রচণ্ড গরম ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কংক্রিটের নিচে শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটার পর্যন্ত সূক্ষ্ম ফাঁকা তৈরি হয়েছে, যা সেতুর গঠন বা স্থায়িত্বে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক আরও জানান, এসব হেয়ারক্র্যাক ধীরে ধীরে ঘষে মেরামত করা হচ্ছে। সেতুর কাঠামো বা ট্রেন চলাচলে কোনো ঝুঁকি নেই। তিনি অভিযোগ করেন, কেউ কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছবি বড় করে তুলে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছে, যা বিভ্রান্তিকর।
উল্লেখ্য, যমুনা সেতুর প্রায় ৩০০ মিটার উজানে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতু। ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুতে রয়েছে ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যান। এটি ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
এই রেলসেতুতে আসা-যাওয়ার দুটি লাইন (ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক) রয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকেই নতুন সেতুর একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল।

