গাজীপুর: গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানাধীন সোড়ল এলাকায় এক ব্যবসায়ী নিজের জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় চাাঁদাবাজদের কবলে পরেন। চাঁদা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে একটি চক্র পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছেন ভুক্তভোগীকে। এমন অভিযোগ এখন ভাসছে নেট দুনিয়ায়। এই ঘটনার পক্ষে বিপক্ষে সংবাদ এখন ভাইরাল।
সোড়ল এলাকার ভুক্তভোগী সাখাওয়াত হোসেন জানান,আমি আমার মালিকানাধীন জমিতে, ফলজ ও বনজ ও বিভিন্ন প্রজাতির শাকসবজির চাষ করার উদ্দেশ্যে কিছু মাটি ফেলানোর জন্য কাজ শুরু করি। এসময় এলাকার কিছু লোক আমার কাছে চাঁদা দাবী করে নানা কৌশলে। আমি চাঁদা না দেয়ায় এলাকার কিছু চিহ্নিত চাঁদাবাজ বাদী সুষ্টি করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন। প্রকৃতপক্ষে যারা এই অভিযোগ দায়ের করেছেন তাদের সাথে আমার জমি জমা নিয়ে কোন ধরনের বিরোধ নেই। প্রকৃতপক্ষে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেওয়া।তারা চাঁদা না পেয়ে আমার এগ্রো প্রজেক্টে দায়িত্বরত কর্মীকে মারধর করে। এ বিষয়ে আমি পূবাইল মেট্রো থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এই অভিযোগে যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা এলাকার চিহ্নিত খারাপ প্রকৃতির লোক।
জানা গেছে, স্থানীয় কিছু লোক চাাঁদা না পেয়ে সাখাওয়াত হোসেনের কাজের লোককে মারধর করে ভয় দেখায়। এতেও কাজ না হওয়ায় গাজীপুর মহানগর ডিবি পুলিকে কাজে লাগায়। ডিবি পুলিশ একাধিকবার এসে সাখাওয়াত হোসেনকে হয়রানী করছে।
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, মাটি বা বালু ভরাট করে কেউ নিজের কাজ করলে সেখানে পুলিশের কোন দায়িত্ব নেই। জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে ভুক্তভোগী আদালতে যেতে পারেন। কিন্তু এরকম হয়ে থাকলে পুলিশ সফিক কাজ করছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই গ্রুপ হয়ে গেছে। তারা পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে পরস্পর বিরোধী সংবাদও প্রকাশ করাচ্ছে। এই এলাকায় কিছু থেকে কিছু হলেই অডিও, ভিডিও ও ফেসবুক লাইভ করা শুরু হয়। যতক্ষন পর্য়ন্ত স্বার্থ উদ্ধার না হয়, ততক্ষন পর্যন্ত লাইভ ও নিউজ চলতেই থাকে।

