হতাশ ক্ষুব্ধ শমসের মবিন বিএনপি ছাড়লেন

Slider টপ নিউজ

 

2015_10_29_11_44_05_BziFNfhNl0gJPRU3EYqIBKnPCzJPBh_800xauto

 

 

 

 

অবশেষে হতাশ, ক্ষুব্ধ শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপি ছাড়লেন। দলই নয়, তার হতাশা এমন এক পর্যায়ে পেঁৗছেছে যে তিনি সাংবাদিকদের বললেন, শুধু বিএনপি নয়, আমি রাজনীতিই ছেড়ে দিচ্ছি। তার ভাষায়, রাজনীতি ছেড়েছি, এখন ‘অবসরে’ যাব। দলীয়প্রধান খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বুধবার লেখা চিঠিতে বিএনপির সব পদ ছাড়ার কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলেছেন তিনি। বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী এমন সময় দল ছাড়লেন, যখন বিএনপি চরম দুঃসময় অতিক্রম করছে। শমসের মবিন চৌধুরীর বিএনপি থেকে পদত্যাগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, শমসের মবিনই নন, বিএনপির আরও অনেক নেতাই দল ছাড়বেন।

পদত্যাগের পর গতকাল সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তার রাগ, ক্ষোভ ও হতাশা গোপন থাকেনি। শমসের মবিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘আদর্শ’ কতটুকু আছে, তা নিয়ে অনেকের মতো তার মনেও প্রশ্ন রয়েছে। শমসের মবিনের পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশজুড়ে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ বলছেন, পর্দার আড়ালে ‘চাপের মুখে’ রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি।

আবার কেউ বলছেন, দলের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের জের ধরে পদত্যাগ করেন শমসের মবিন। অবশ্য এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিএনপি। অনানুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। রাজনীতি থেকে তার অবসরের ঘটনা বড় কিছু নয়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড বিএনপির অনেক নেতাই পছন্দ করেন না। তারা এসব কর্মকাণ্ড মেনে নিতে না পেরে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। আর এসব কর্মকাণ্ডে অনাস্থা জ্ঞাপন করেই শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। অনেকেই তার অনুসারী হবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে দল থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা লিখে একটি চিঠি দিয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী। বুধবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে দলীয় চেয়ারপারসন বরাবর চিঠি পাঠান তিনি। বৃহস্পতিবার বনানীর নিজ বাসায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সাংবাদিকদের শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, তিনি যুদ্ধাহত একজন মুক্তিযোদ্ধা। শারীরিকভাবে এখন আর রাজনীতি করার মতো অবস্থা নেই। এ কারণে বিএনপির সব পদ থেকে পদত্যাগ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এখন থেকেই তা কার্যকর হবে।

খালেদা জিয়াকে দেওয়া চিঠিতে যা আছে :বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উদ্দেশে লেখা চিঠিতে শমসের মবিন বলেন, ‘আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলাম। সে কারণে আমাকে বিভিন্ন সময় দেশে-বিদেশে নানাবিধ চিকিৎসা নিতে হয়েছে। বর্তমানে আমার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে। আমার বর্তমান স্বাস্থ্যগত অবস্থার কারণে আমি অনতিবিলম্বে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অবসর গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিএনপির সকল পদ থেকেও পদত্যাগ করলাম।’ সংক্ষিপ্ত ওই চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যগত সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে সামনে রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার প্রয়াস আমার চিরকাল থাকবে।’
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উত্তরায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বাসায় যান শমসের মবিন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা ফখরুলের সঙ্গে পদত্যাগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। মির্জা ফখরুল তাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষার অনুরোধও করেন মির্জা ফখরুল। এতদসত্ত্বেও স্বীয় সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন শমসের মবিন। ফখরুলকে তিনি মুখে বলেন, ‘আপনি চিঠি রাখেন।’ ফখরুলের অনুরোধ তিনি বিবেচনা করবেন বলে জানান। তবে পরদিন মিডিয়াতে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় কিছুটা অপ্রস্তুত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
গতকাল দুপুরে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে শমসের মবিনের বনানীর ডিওএইচএসের বাসায় গণমাধ্যমের কর্মীরা ভিড় জমান। এক দফা সাংবাদিকদের সঙ্গে পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা করার পরও দিনব্যাপী দফায় দফায় সাংবাদিকরা পদত্যাগের ভেতরের খবর জানতে তার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেন। তবে দুপুরের পর থেকে কাউকে সাক্ষাৎ দেননি তিনি।
নেপথ্যের কারণ :বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, শারীরিক অসুস্থতার কথা বললেও বিএনপির সঙ্গে শমসের মবিনের সম্পর্কচ্ছেদের মূল কারণ হলো দলের হাইকমান্ডের ওপর ক্ষোভ ও হতাশা। দীর্ঘদিন ধরে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবমূল্যায়ন এবং আগামীতে দল পুনর্গঠনে বাদ পড়ার আশঙ্কা থেকে তিনি আগাম সরে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে করেন তারা।
দীর্ঘদিন থেকে তারেক রহমানের সুনজরে নেই তিনি। তার ব্যাপারে তারেক রহমানের মনোভাবও তাকে ক্ষুব্ধ করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে বিএনপি ও শরিকদের টানা অবরোধ-হরতালের মধ্যে ৮ জানুয়ারি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হন শমসের মবিন। প্রায় চার মাস কারাভোগ করে ২২ মে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে একেবারে চুপচাপ ছিলেন তিনি। এর পর দলের কোনো কার্যক্রমের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি তাকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠকেও ছিলেন না শমসের। অথচ ২০১২ সালে খালেদা জিয়ার ভারত সফরকালে সমন্বয়কের মুখ্য দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী। কারাগারে যাওয়া এবং মুক্তি পাওয়ার পরও বিএনপি যথাযথ সম্মান দেখায়নি বলে মনে করেন শমসের মবিন চৌধুরী। কারামুক্তির পর তার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ রাখেননি। এমনকি মুক্তি পাওয়ার পরও খালেদা জিয়া সাক্ষাৎ দেননি তাকে। উল্টো তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে দলের সিনিয়র পর্যায় থেকে। কারামুক্ত হওয়ার পর দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
দলের একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে শমসের মবিন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন যে, ভোট হচ্ছে না। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশ ও দাতা সংস্থাগুলোর চাপে সরকার বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বাধ্য হবে বলে আশ্বস্ত করেন দলের হাইকমান্ডকে। কিন্তু বাস্তবে তা না হওয়ায় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব শমসের মবিনকে দায়ী করেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগাযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসেবে তার কথার ওপর ভিত্তি করেই হাইকমান্ড নির্বাচন বর্জনের মতো ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানান নেতারা। আন্তর্জাতিক সম্পর্কোন্নয়নে তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করেন বিএনপি হাইকমান্ড। এ পরিস্থিতিতে গত জানুয়ারি থেকে দলের কূটনৈতিক বিষয় দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানকে।
দলে জিয়ার আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন শমসের মবিনের :জিয়ার রাজনীতি বর্তমানে বিএনপিতে কতটুকু আছে_ এ নিয়ে প্রশ্ন শমসের মবিন চৌধুরীর। গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে চিন্তাধারা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটা গঠনমূলক রাজনীতির কথা ভেবেছিলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন এবং তার মনেও প্রশ্ন, বিএনপি সেখানে কতটুকু রয়েছে।
তার পদত্যাগে দলে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না জানতে চাইলে শমসের বলেন, বিএনপি বড় দল। তার চলে যাওয়ায় ক্ষতি হবে না বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
কেউ কেউ বলছেন, দলের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে দল ছেড়েছেন_ এ রকম প্রশ্নের জবাবে শমসের জানান, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যগত কারণেই রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। তিনি বাইরে যেতে পারেন না, চলাফেরাও সীমিত করতে হয়েছে। এ অবস্থায় রাজনীতি করতে হলে যে ধরনের শ্রম ও সময় দেওয়া প্রয়োজন, তা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
নতুন কোনো দলে যোগ দেবেন কি-না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দল পরিবর্তনে আমি বিশ্বাস করি না।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠার কথা প্রকাশ করে শমসের মবিন বীরবিক্রম বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। যে দলেরই হোক, রাজনীতির সঙ্গে জড়িতরা সুস্থ ও গঠনমূলক রাজনীতি সামনে রেখে এগোবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর ভিত্তি করে জাতীয় ঐকমত্যের এখন কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য তার।
গত জুলাইয়ে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) নবায়নের জন্য আবেদন করেও এখনও না পাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শমসের মবিন বলেন, তিনি জানেন না, কেন পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না। তার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। অস্ত্রোপচার করতে হবে। তিনি বলেন, সিলেটের মানুষ অনেকে আমাকে টেলিফোন করে বলেছেন, ‘আমরা আপনার পাশে আছি। আমরা আপনাকে ছেড়ে যাব না।’
‘অবসর জীবনে’ পড়ালেখা ও লেখালেখি করে সময় কাটাবেন বলে তিনি জানান।
প্রভাব পড়তে পারে সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে :বিএনপির প্রবীণ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাইফুর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া সিলেটে বিএনপির হাল ধরার দায়িত্ব দিয়েছিলেন শমসের মবিন চৌধুরীকে। সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী ও তিনি সিলেটের রাজনীতি দেখভাল করতেন। বর্তমানে শমসের মবিন একাই সিলেট বিএনপির দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করছিলেন। শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের ঘটনায় সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

অবশ্য সিলেটের রাজনীতিতে শমসের মবিন চৌধুরীকে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি জেলা ও নগর বিএনপির কমিটি দেওয়ার ব্যাপারেও শমসের মবিনের কাছ থেকে কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি।
বিএনপি নেতারা যা বলেন :বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সমকালকে বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী অসুস্থতার কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন। এ বছরের শুরুতে গ্রেফতার ও কারাবরণ তার (শমসের) জন্য অস্বস্তির কারণ ছিল। কারামুক্তির পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। শমসেরের অবসরে যাওয়া বড় কোনো ঘটনা নয় বলে মন্তব্য তার।
স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গতকাল যুবদলের আলোচনা সভায় বলেন, যে কারও দলে আসাও নিজের ইচ্ছায়, যাওয়াও তেমনি। রাজনীতি ছাড়লেও শমসের মবিন জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষেই থাকবেন বলে তার বিশ্বাস।
বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন সমকালকে বলেন, অসুস্থতার কারণেই তিনি অবসরে গেছেন।
শমসের মবিন ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং এর পর দুই বছর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর শমসের মবিন চৌধুরী বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপিতে তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা এবং গত কাউন্সিলে (২০০৯) ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কখনও নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত কয়েক বছর তিনি বিএনপির মূল ক্ষমতাকেন্দ্রের খুব কাছাকাছিই ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *