এন্ড্রু কিশোর। বরেণ্য সঙ্গীতব্যক্তিত্ব। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘এবার মানসম্মত শিক্ষা চাই’ শিরোনামের একটি গান করেছেন তিনি। এ গানসহ অন্যান্য বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে_
জনসচেতনমূলক গানে উৎসাহিত হলেন কীভাবে?
শুধু জনসচেতনতাই নয়; গান বা সঙ্গীত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যে কোনো বিষয় নিয়ে মানুষের মনকে আন্দোলিত করতে পারে, কাঁদাতে পারে; আনন্দ জোয়ারে ভাসাতে কিংবা কল্পনার রাজ্যে ভ্রমণ করাতে পারে। এটা ভেবেই জনসচেতনমূলক গানে উৎসাহিত হয়েছি। ‘এবার মানসম্মত শিক্ষা চাই’ গানটি সে চিন্তাধারারই ফসল। কায়সার চৌধুরীর লেখা এ গানটির সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অমিত মলি্লক। এর পাশাপাশি আলী আকবর রুপুর সুরে ‘স্বাধীনতার চেতনায়’ শিরোনামের একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। স্বাধীনতার ৪৪ বছরে একটি দেশের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা তুলে ধরা হয়েছে এ গানটিতে।
প্লেব্যাকে আগের মতো ব্যস্ততা চোখে পড়ে না। এর কারণ কী?
এখন বেশির ভাগ চলচ্চিত্রে নতুন নতুন সঙ্গীত পরিচালক কাজ করছেন। নতুন শিল্পীদের সঙ্গে বেশি কাজ করছেন তারা। এ কারণে ব্যস্ততা খানিকটা কমে গেছে। এটা সময়ের দাবি। নতুনরা আসবে, কাজের মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করবে_ এটাই স্বাভাবিক।
নতুনদের সঙ্গে কাজ করতে কি আগ্রহী নন?
আমি কিন্তু বলিনি_ নতুনদের সঙ্গে কাজ করব না। ক’দিন আগেও পড়শী, কোনালের মতো কয়েকজন তরুণ শিল্পীর সঙ্গে গান করেছি। গান যদি ভালো লাগার মতো হয়, তার সহশিল্পী বা সঙ্গীতায়োজক নবীন না প্রবীণ, তা আমার কাছে মুখ্য নয়। আমিও চাই, নতুনদের মধ্য থেকে ভালো শিল্পী ও সঙ্গীতায়োজক তৈরি হোক। এ জন্য খানিকটা ছাড় দিতেও আমি প্রস্তুত। তার পরও খারাপ লাগে কেবল এটা দেখে, নতুনদের অনেকেই কাজ করতে গিয়ে সহজেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। কারণ তারা বুঝতে চায় না_ সঙ্গীত কোনো ব্যবসায়িক পণ্য নয়; অনেক সাধনায় তা আত্মস্থ করতে হয়।