ঢাকা: দক্ষিণ চীন সাগরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এই সাগরে চীনের নির্মিত কৃত্রিম দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের (২২ কিলোমিটার) মধ্যে ঢুকে পড়ে মার্কিন একটি জাহাজ। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হুঁশিয়ারি দেয় চীন। এই উত্তেজনায় জ্বালানি যোগাতেই যেন এই সাগরে আরও জাহাজ পাঠানোর ঘোষণা দিল মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ চীন সাগরের বৃহৎ এলাকা নিজের দাবি করে বেশ আগে থেকেই সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ শুরু করে চীন। চীনের দাবির মুখে খর্বিত হয় সাগরের তীরবর্তী মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের অধিকার।
এ নিয়ে শুরু থেকেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এই অঞ্চলে। তারওপর মার্কিন নজরদারি এ উত্তেজনায় আরও রশদ জোগায়। এরই ধারায় সম্প্রতি চীন তাদের দ্বীপের ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে কোনো বিদেশি জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু তা অমান্য করে এই অঞ্চলে ঢুকে পড়ে মার্কিন জাহাজ ইউএসএস-লেসেন।
মার্কিনিদের দাবি, তাদের জাহাজ আন্তর্জাতিক জলসীমাতেই ছিল। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুযায়ী, সাগরপথে ১২ নটিক্যাল মাইলের যে সীমাবদ্ধতার কথা রয়েছে, তা কোনো মানুষ নির্মিত দ্বীপের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বিচরণের স্বাধীনতা আরও বেশি করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
এদিকে, মার্কিন দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। এ ঘটনায় দেশটিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়। চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঝ্যাং ইয়েসুই রাষ্ট্রদূত ম্যাক্স বাউকাসকে বলেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ড সত্যিকার অর্থেই দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।
রাষ্ট্রদূতকে তলবের পরপরই অপর এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, আমরা এ কাজ আবার করবো। আমরা আন্তর্জাতিক জলসীমায় আমাদের পছন্দ মতো সময় ও স্থানে জাহাজ ভাসাবো।