সম্পাদকীয়: তারেক রহমান জনগনের ভয় দূর করতে না পারলে ৯১ ফিরে আসতে পারে!

Slider সম্পাদকীয়


৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত যা যা হয়েছে, তা বিশ্লেষন করলে বিএনপিকে জনগনের জন্য আরো নিরাপদ করতে হবে। এখন বিএনপি জনগনের জন্য অনিরাপদ নয়, তবে জনগনের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয়েছে। এই ভয় দূর করতে না পারলে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ফিরে আসতে পারে বলে আশংকা রয়েছে। আর এই কাজটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেই করতে হবে।

বিভিন্ন জনমত জরীপ ও সাধারণ মানুষের ভাষ্যমতে, ৫ আগষ্টের আগে বিএনপির যে জনপ্রিয়তা ছিল এখন তা নেই। কতিপয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের অবৈধ কর্মকান্ডের কারণে দল আজ প্রশ্নবিদ্ধ। ৫ আগষ্টের আগে যে সকল নেতারা গরীব ছিলেন তাদের মধ্যে এখন যারা মহাধনী হয়েছেন তাদের চিহিৃত করে দল থেকে বের করে আইনের আওতায় দিতে হবে। দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের জন্য যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তাদের মধ্যে যাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। যারা দলের জন্য ক্ষতিকর তাদের বাদ দিতে হবে। এই কাজের জন্য একটি শক্তিশালী তদারকি কমিটি করে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিএনপির অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে যাবে।

মাঠ পর্যায়ে দেখা যায়, আন্দোলন সংগ্রামে যারা অগ্রনী ভুমিকায় ছিলেন তাদের অনেকেই এখন মাঠে নেই। বীরের বেশে দামী গাড়ি থেকে যারা নামছেন তাদের অনেকেই আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না বা লুকিয়ে ছিলেন। বিএনপির মধ্যে যারা কয়েক মাসে ধনী হয়ে গেছেন, তাদের অনেকেই বিগত আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাত করে গা বাঁচিয়ে ছিলেন। আবার অনেক বিএনপি নেতা বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে টাকাওয়ালাদের আশ্রয় দিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছেন।

তৃনমূল কর্মীরা বলছেন, ৫ আগষ্টের পর যারা বড় বড় পদ দখল করে বসেছেন, তাদের কেউ কেউ বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের সাথে ছিলেন। অনেকে প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের সাথে থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা বিএনপির পদও পাচ্ছেন। আর যারা ত্যাগী কর্মী তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এতে দলে ত্যাগী ও সুবিধাভোগী এই দুটি ভাগ হয়ে গেছে। এই বৈষম্য দূর করতে না পারলে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে ১৯৯১ সালে যেমন আওয়ামীলীগ বিজয় নিশ্চিত মনে করে হেরে গিয়েছিলো, ঠিক আগামী নির্বাচনে বিএনপির কপালে সেই ভাগ্যও থাকতে পারে। তাই বিএনপির প্রতি জনগনের ভয় দূর করে দলের ভেতরে বৈষম্য দূর না করলে বিএনপিকে বড় ধরণের খেসারত দিতে প্রস্তুতি নিতে হবে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *