সাবেক ইউএনওকে ঘুষ: গাজীপুরে দুই আ.লীগ নেতার কথোপকথন ভাইরাল!

Slider গ্রাম বাংলা


ছবি – (অবৈধভাবে নির্মাণ করা বাঁধ ও বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন নূরে আলম খান রতন)
গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা: গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়েনের দুই আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে কুমুন, চিলনী ও রোসাদিয়া গ্রামে মাছের প্রজেক্ট ও জমি দখলের লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ইতোমধ্যে মাছের প্রজেক্টের বাবদ সাবেক ইউএনওকে এক লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব ও তার সহযোগি নূরে আলম রতনসহ একটি চক্র আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে একটি মাছের প্রজেক্ট করেন। স্থানীয় ইউএনওকে দিয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবে কৃষকের জমিতে বাঁধ দিয়ে প্রজেক্ট তৈরী করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বাঁধ দেয়ার সময় মারামারি হলে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কয়েকজন সংবাদিকও আহত হয়। এই ঘটনায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা ও মামলা হলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ৫ আগস্টের পর হাবিব চেয়ারম্যান তার সিন্ডিকেট দিয়ে পরিস্থিতি ম্যানেজ করে গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক ইউএনও মোরাদ আলীকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে মাছের প্রজেক্ট নিরাপদ করেন। এই ঘুষের টাকা নিয়ে প্রজেক্টের দুই অংশিদার স্থানীয় হজরত আলী ও নূরে আলম খান রতনের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ হয়েছে। এ ছাড়া কুমুন গ্রামের ইসমাইল সরকারের মেয়ে ইসমত আরা বেগম নামে এক নারী নূরে আলম রতন ও জনৈক আতাউর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গাজীপুর সদর ইউএনওর নিকট জমি দখলের একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিবের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অপর ব্যক্তি নূরে আলম খান রতনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশিদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাবেক ইউএনও মুরাদ আলীকে ঘুষ লেনদেনের অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অডিও পেয়েছি। এখানে ঘুষ লেনদেনের স্পষ্ট কোন প্রমাণ নেই। তবে যতটুকু জেনেছি সাবেক এসিল্যান্ড ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী ভুক্তভোগী নুরু খান জানান, হাবিব চেয়ারম্যান ও নূরে আলম খান রতন গং প্রায় ১২০০ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল ও পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ করেছে। ১ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে এই কাজের সহযোগিতা করেছেন সাবেক ইউএনও মোরাদ আলী। আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টির সমাধান চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *