হাতিরঝিলে ৮০ টাকায় ৩০ মিনিটের আনন্দ ভ্রমণ

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


ঈদ আনন্দ-উৎসবে মেতেছে পুরো দেশ। অলিগলি থেকে রাজপথ, পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র, সবখানেই পরিবার, পরিজন নিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতেছে সবাই। ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি। বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখে ৩০ মিনিটের নৌ ভ্রমণ প্যাকেজ চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। ৩০ মিনিটের ঈদ আনন্দ ভ্রমণে গুনতে হচ্ছে জনপ্রতি ৮০ টাকা।

সোমবার (৩১ মার্চ) হাতিরঝিল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

দর্শনার্থী ও ভ্রমণপ্রেমীরা পরিবার পরিজন নিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরে খুশি হলেও সাধারণ যাত্রী পারাপার সার্ভিস বন্ধ থাকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে কাগজে প্রিন্ট করা নোটিশ টানিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঈদের প্রথম দিন থেকে ৩য় দিন পর্যন্ত সাধারণ যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকবে, শুধুমাত্র ৮০ টাকা ভাড়ায় আনন্দ নৌ ভ্রমণ প্যাকেজ চালু থাকবে।

এদিকে হাতিরঝিলের ওয়াটার ট্যাক্সি ঘাটগুলোতে প্রচুর সংখ্যক দর্শনার্থী, অভিভাবক তাদের সন্তান-পরিবার নিয়ে আনন্দ ভ্রমণ করছেন। ওয়াটার ট্যাক্সির প্রতিটি ঘাটেই দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। এছাড়া টিকিট কেটে লাইনে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে অনেককে।

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, ঈদে প্রতিবছরই পরিবারসহ এখানে ঘুরতে আসি। সবাইকে নিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরলাম। ৮০ টাকার টিকিটে ৩০ মিনিট একটু কম সময় হয়ে যায়। হয় ভ্রমণের সময়টা একটু বাড়াতে হবে, নয়তো টাকার পরিমাণটা কমাতে হবে।

স্বামী ও সন্তানসহ ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরে গুলশান ঘাটে নেমেছেন আসা রিক্তা খাতুন। তিনি বলেন, ঈদের দিনে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ভ্রমণ আসলেই খুবই ভালো লাগার বিষয়। সন্তানরা খুব উপভোগ করে এটাতে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াটার ট্যাক্সিতে ঘুরে বেশ ভালো লাগলো। ঘুরতে আসা বেশিরভাগ মানুষই ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে ঘুরছেন, এ কারণে প্রতিটি ঘাটে প্রচণ্ড ভিড় মানুষের। সিরিয়াল ধরে অপেক্ষা করে ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠতে হচ্ছে সবাইকে।

এদিকে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে এমন আনন্দ ভ্রমণ সার্ভিসের সমালোচনা করে মাসুদ রানা নামের এক যাত্রী বলেন, এটা তো একটা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। ঈদের দিন আনন্দ ভ্রমণের প্যাকেজ চালু করেছে, সেটা সমস্যা নেই, কিন্তু উচিত ছিল যাত্রী পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট ওয়াটার ট্যাক্সি এবং আনন্দ ভ্রমণের জন্য আলাদা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস চালু রাখা। তাহলে আমাদের মতো যারা যাত্রী হিসেবে ওপাশে যেতে চান, তাদের উপকার হতো।

ইট-পাথরের আর কংক্রিটের এ শহরে বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার জায়গা অনেক কম। এ ব্যস্ত নাগরিক জীবনে কিছুটা স্বস্তি পেতে সবসময় উপলক্ষ খুঁজে বেড়ায় নগরবাসী। প্রত্যেক বছরের মতো এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিন হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন স্পটে ভিড় করেছেন।

চারপাশে গাছপালা, বসার সুব্যবস্থা, আলোকসজ্জা, পানির নৃত্যসহ নিরিবিলি বসে একটু সময় কাটানোর জন্য রাজধানীবাসীর কাছে হাতিরঝিল বেশ জনপ্রিয়। তাই ঈদের দিন বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে এ বিনোদন কেন্দ্রটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *