কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কৈবর্তপাড়া নামের অস্তিত্বহীন এক স্কুলের নামে বরাদ্দ নিয়ে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্কুলের নামে ওই বরাদ্দ হলেও দুদকের অভিযানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
রোববার (১৬ মার্চ) দুদকের ঢাকা কার্যালয় থেকে একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
দুদক জানায়, অস্তিত্বহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ প্রদানপূর্বক রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম জেলা পরিষদের কেরাণীগঞ্জ উপজেলার শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কৈবর্তপাড়া স্কুল পরিদর্শনে যায়। পরিদর্শনকালে সেখানে কৈবর্তপাড়া নামে কোনো স্কুল এবং কোনরূপ নির্মাণ কাজের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য ঢাকা জেলা পরিষদের ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ওই স্কুলটির জন্য দুইবারে মোট ১ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যালোচনায় উল্লেখিত কার্যক্রমে অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থের আত্মসাৎ বা অপচয় হয়েছে বলে অভিযানকালে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযোগের বিস্তারিত যাচাইয়ের লক্ষ্যে জেলা পরিষদ বরাবর বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়েছে দুদক টিম। রেকর্ডপত্র প্রাপ্তিসাপেক্ষে পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।
অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “অ্যাসেট” প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের অপর একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। অভিযানকালে ‘অ্যাসেট’ প্রকল্পের ডিপিডির কাছ থেকে প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে বলে জানা গেছে।