রাজনীতিতে কখন কি হয় বলা কঠিন

Slider জাতীয়

97857_rrr

 

 

 

 

 

দেশে এখন রাজনীতি নেই। এজন্যই আওয়ামী লীগ নতুন সুর তুলেছে কম গণতন্ত্র বেশি বেশি উন্নয়ন। এর মানে হলো ক্যানসারের রোগীকে সাজিয়ে-গুছিয়ে ফটোসেশন করা। তাদের এই তত্বের মাহাত্ম্য মানুষ পরে বুঝতে পারবে।
মানবজমিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এসব কথা বলেন। ২০ দলীয় জোটের শরিক এই নেতা বলেন, যে কোন ইস্যুতে জঙ্গিবাদের জুজুর ভয় আওয়ামী লীগই বেশি দেখিয়েছে। এখন ওই ফাঁদে তারা নিজেরাই পড়ে দায় বিরোধী জোটের ওপর চাপাচ্ছে। তবে জাতীয় এই ইস্যুতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবিলা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারকে ইমেজ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক এই এমপি । বিরোধী জোটের দুদফা আন্দোলনের পরও দাবি আদায় না হওয়ার বিষয়ে আন্দালিব রহমান বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলনের পর তার পতন হয়েছে। তবে দুদফা আন্দোলনে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি ঠিকই। কিন্তু কিছু যে অর্জন হয়নি সেটা ঠিক নয়। ইতিমধ্যে আমাদের অনেক দাবি আদায় হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বুঝে গেছে কোন দলের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। সেটা বিএনপি হোক কিংবা আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগও বুঝে গেছে, তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেটা উপজেলা ও সিটি নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগেও এখন রাজনীতি নেই। কারণ ১৫০টির বেশি আসন ভোট ছাড়া নির্বাচিত হওয়ায় জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কমে গেছে। আর এজন্যই এমপির হাতে শিশু গুলি খাচ্ছে, মায়ের পেটের শিশু গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, সর্বত্র লুটপাট চলছে। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হলো দিনের পর দিন এসব অনির্বাচিত ব্যক্তিকে রেখে দিলে অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা রাজনীতিতে ঢুকে যায়। তখন তাদের মানুষের কাছে যাওয়ার দরকার নেই। এর প্রমাণ সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে কোন জনপ্রতিধিকে দেখা যায়নি। দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনে সরকারের কৌশল সম্পর্কে আন্দালিব রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে রাজনৈতিকভাবে তারা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। কারণ তৃণমূলের সঙ্গে স্থানীয় এমপিদের কোন সম্পর্ক নেই।  জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করতে চাচ্ছে। এই সুযোগে ‘বিকাশ স্টাইলে’ যারা এমপি হয়েছেন তারা চেষ্টা করছেন, তৃণমূলে কোমর সোজা হয়ে দাঁড়াতে। এছাড়া বিরোধী জোটের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে। লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা। তারা তো এলাকায় যেতে পারবে না। এই মোক্ষম সুযোগে ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার চেষ্টা করবে। আগামী বছরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, রাজনীতিতে কখন কি হয় বলা কঠিন। সময় দিয়ে রাজনীতিতে কখনও কিছু হয় না। তবে আমাদের দাবি সবসময়ই খুব দ্রুত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচন দিলেই দেশ এগুবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করবো। এর মাঝখানে একটা সমঝোতা হবে। রাজনীতিতে সমঝোতা এভাবেই হয়। আগেও এভাবে হয়েছে। আপনি বলবেন, ১৯ সালের আগে হবে না। আমরা বলবো এখনই দিতে হবে। এর মাঝখানে একটা সমঝোতা হয়তো হবে।
(পুরো সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকাল)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *