জয়পুরহাটে নারী ফুটবল টিমের খেলা আয়োজন করায় ভাঙচুর

Slider খেলা


নারী ফুটবল টিমের খেলা আয়োজন করায় ঘেরাও করা টিনের বেড়া ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আসরের নামাজের পর এলাকার বিক্ষুব্ধ মুসুল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্ররা জড়ো হয়ে খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ প্রচার করা হয়।

জানা গেছে, আক্কেলপুরের তিলকপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ টিন দিয়ে ঘেরাও করে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় টি স্টার ক্লাবের উদ্যোগে প্রায় দেড় মাস ধরে ফুটবল খেলা চলছিল। খেলা দেখার জন্য টিকিট চালু করা হয়েছিল। প্রতিটি ম্যাচে মাটিতে বসে ৩০ টাকা ও চেয়ারে বসে ৭০ টাকা। সম্প্রতি ওই খেলার মাঠের টিনের বেড়া খুলতে গিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা সুলতানা দর্শক ও আয়োজকদের রোষানলে পড়েছিলেন। এ ঘটনায় তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন গ্রাম পুলিশ আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ওই মাঠে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জয়পুরহাট ও রংপুর নারী দলের ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা ছিল। এলাকায় সেটি প্রচারও করা হয়। এতে মুসুল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর তিলকপুর রেলস্টেশনের সামনে স্বাধীনতা চত্ত্বরে জড়ো হন। এরপর তারা সেখান থেকে গিয়ে খেলার মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর করেন।

বিক্ষুদ্ধ মুসুল্লিদের বক্তব্য ও ভাঙচুরের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মো. মেজবাউল মণ্ডল নামে একটি আইডি থেকে লাইভে সম্প্রচার করা হয়। ২৪ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড সময় ধরে লাইভ চালানো হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, তিলকপুর রেলস্টেশনের সামনে স্বাধীনতা চত্ত্বরে মুসুল্লি ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। সেখানে কয়েকজন মাওলানা বক্তব্য দেন।

টি-স্টার ক্লাবের সভাপতির পদে রয়েছেন আক্কেলপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল হাসান ইমন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই মাঠে ছেলেদের খেলা হচ্ছিল। আগামীকাল বুধবার বিকেলে জয়পুরহাট-রংপুর নারী ফুটবল দলের খেলা ছিল। আজ মঙ্গলবার আসরের নামাজের পর মাদ্রাসার ছাত্রসহ মুসুল্লিরা খেলার মাঠে হামলা চালিয়ে টিনের বেড়া ভেঙে দিয়েছে। এতে লক্ষাধিক টাকার টিন নষ্ট হয়েছে।

জানতে চাইলে আক্কেলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ইউএনও মহোদয় খেলার বিষয়ে নিষেধ করেছিলেন। মাদ্রাসার ছাত্ররা গিয়ে সম্ভবত প্যান্ডেল বা যা ছিল তা খুলে ফেলেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি।

এ ব্যাপারে জানতে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলমের মুঠোফোনে কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *