এক জিয়া সৈনিকের ত্যাগের গল্প

Slider লাইফস্টাইল


গাজীপুর: বিএনপিতে শুরু বিএনপিতেই শেষ। যৌবনের উত্তাল সময় চলে গেছে। সীমাহীন নিপীড়িন সহ্যৃ করেও বিএনপির জন্য নিবেদিত প্রাণ ডাক্তার মাজহারুল আলম রাজপথে সক্রিয় থেকে গেছেন সকল দু:সময়েও। বিসিএস পাশ করা এই ডাক্তার চাকুরীও হারিয়েছেন বিএনপি করে। বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য এই নেতা বিএনপিকে শুধু দিয়েই গেছেন। সেবা ও ত্যাগের বিনিময়ে পাননি ভালো কোন পদও। তবুও তিনি বিএনপিতেই আছেন। জীবনের শেষ বিন্দুতেও বিএনপিতে থাকতে চান।

জানা যায়, ডা.মাজহারুল আলম, সদস্য,জাতীয় নির্বাহী কমিটি,বিএনপি। তিনি সাবেক দপ্তর ও যুগ্ম সম্পাদক, গাজীপুর জেলা বিএনপি। সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জিয়া পরিষদ। সাবেক সমন্বয়কারী, গাজীপুর জেলা বিএনপি। প্রধান সমন্বয়কারী, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন,গাজীপুর জেলা। সভাপতি, জিয়া পরিষদ, গাজীপুর। সাবেক সভাপতি, ড্যাব,গাজীপুর জেলা। ঢাকা ডেন্টাল কলেজে ‘৭৯ সালে ছাত্রদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি ছাত্রদল নিয়ে ফুল প্যানেলে ছাত্রসংসদেও পাশ করেন। ডা: মাজহারুল আলম ১ লা ফেব্রুয়ারি, ১৯৬০ জন্ম গ্রহন করেন। শিক্ষা জীবনে জুনিয়র বৃত্তি প্রাপ্ত হন। এস এস সিঃ ১ম বিভাগ (বোর্ড বৃত্তি) ঢাকা বোর্ড। এইচ এস সি ২য় বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বোর্ড। বি ডি এসঃ ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিসিএস (স্বাস্থ্য) পাবলিক সার্ভিস কমিশন, ১৯৮৪ইং। বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নেন সাভার লোক প্রশাসন কেন্দ্র থেেেক ১৯৯১ইং। একজন সরকারী ডাক্তার হলেও ২৫ বছর চাকুরী করার সময় আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপি করার কারনে চাকুরী ২০০৯ সালে তাকে চাকুরীচ্যুত করে। ২০০৭ সালে কুখ্যাত এক এগার এর ষড়যন্ত্র শুরু হলে প্রতিবাদে সোচ্চার হন তিনি।

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান গ্রেফতার হলে প্রকাশ্যভাবে প্রথম প্রতিবাদ করতে জাতীয় প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি,ন্যাম ভবনে আলোচনা সভা, সেমিনার, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন তিনি। তার বিবৃতি ও বক্তব্য সমকালীন পত্র-পত্রিকা ফলাওভাবে প্রচারিত হয়েছে। ডাক্তারী পদে চাকুরীকালীন জেলা জিয়া পরিষদেও সভাপতি ও ১৬বছর ড্যাবের সভাপতি ছিলেন ডাক্তার মাজহার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রমূলক নির্বাচনে ক্ষমতা গ্রহনের পর আবারো কঠিন নির্যাতনের শিকার হয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু পেনসনসহ সকল পাওনা আজো তিনি পাননি।

তিনি ২০০৯ সালে ব্রি ঃজেঃ (অবঃ) হান্নান শাহকে আহবায়ক করে একটি শক্তিশালী জেলা বিএনপি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখেন। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে সমন্বয়কারীও ছিলেন তিনি। জেলা বিএনপির আহবায়ক বিঃ জেঃ অবঃ আসম হান্নান শাহকে সহযোগিতা করতে জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রথমে আহবায়ক কমিটি এবং পরে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন কাজে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। জেলার আহবায়ক কমিটিতে কোন সদস্য সচিবের পদ না থাকায় ডা: মাজহার সেই দায়িত্ব পালন করেন।

২০১১ সালে গাজীপুর জেলা বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটিতে তিনি যুগ্ম সম্পাাদক এবং পাশাপাশি দপ্তর সম্পাাদক হন।২০১১ থেকে ২০১৫ই পর্যন্ত জেলা বিএনপিতে সকল কর্মসূচি পরিচালনা করেন। ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি ও ব্রি: জে: হান্নান শাহর সাথে কাপাসিয়ায় জনসভা হলে তিনি সক্রিয়ভাবে পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে গাজীপুরের ঐতিহাসিক রাজবাড়ীর মাঠে তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে সর্বপ্রথম গাজীপুরে আগমন করেন। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের জাতীয় অনুষ্ঠানটিতে তাঁকে আমন্ত্রন জানালে তিনি সদয় সম্মতি দেন। সেই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ডা: মাজহার।

এ ছাড়াও ড্যাব, জিয়া পরিষদ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর প্রধান হিসেবে গাজীপুর জেলা, কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয়তাবাদী শক্তির অনুকূলে অগণিত সভা, সেমিনার,আলোচনা,মানব বন্ধন, মিছিল, র্যালী, ফ্রি মেডিক্যাল অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং আওয়ামীলীগের শেষ সময় পর্যন্ত ১৬টি মামলায় আসামী ডা: মাজহার। ২০১৬ সালে বিএনপির কাউন্সিল হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ দেন।তারপর থেকে দলের প্রয়োজনে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এই ত্যাগী নেতা।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই দলে থাকা ডা: মাজহার বলেন, আমি জিয়ার সৈনিক। বেগম জিয়া ও তারেক রহমান আমার নেতা। আমি এর চেয়ে বেশী কিছু চাই না।। দল যখন যে দায়িত্ব দিবে তখন সেই দায়িত্ব আমি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *