রমজান আলী রুবেল,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার ইয়াকুব আলী মাষ্টারের ছেলে, পৌর বিএনপির প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্লাহ শহীদের ছোট ভাই হামলার শিকার। গত ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে মার্কেট নিয়ে বিরোধ হয়ে আসছিল এরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের একাংশের মালিক মোস্তফা কামাল (৪৫) হামলায় তার চোখ হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শনিবার ৩০ নভেম্বর রাতে মাওনা চৌরাস্তার ইয়াকুব আলী মাষ্টার টাওয়ার নামের বিপনী বিতানের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মোস্তফা কামাল প্রয়াত বিএনপি নেতা ইয়াকুব আলী মাস্টারের ছেলে এবং শ্রীপুর পৌর বিএনপির প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্ল্যাহ শহিদের ছোট ভাই।
ঘটনার পর মোস্তফা কামালের স্ত্রী জেনি আক্তার শ্রীপুর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রধান আসামি আব্দুল বারেক, কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছে, মাওনা চৌরাস্তায় তাদের চার ভাইয়ের মালিকানাধীন একাধিক মার্কেট রয়েছে। শনিবার বিকেলে মোস্তফা কামাল তার বড় ভাই আশরাফ উদ্দিনকে নিয়ে মার্কেট পরিদর্শনে বের হন। সন্ধ্যার পর ইয়াকুব আলী মাস্টার টাওয়ারের সিকদার ফ্যাশনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালে অভিযুক্ত বারেক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মোস্তফা কামালের ওপর হামলা চালান।
এ সময় প্রতিবন্ধী ভাই আশরাফ উদ্দিন তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় মোস্তফাকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার বা চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আহত মোস্তফা কামাল জানান, তারা বিএনপি নেতার পরিবার হওয়ার পরও গত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্নভাবে নিগৃহীত হচ্ছেন। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় সন্ত্রাসীরা জোরপূর্বক তাদের মার্কেটের ভাড়া আদায়সহ বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানি করছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এ বিষয়ে উদাসীন ভূমিকা পালন করছে। এমনকি আমাদের হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।