রমজান আলী রুবেল শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা,গাড়ি ভাংচুর ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত করে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শামিম আল মামুন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ওয়ার্ড যুবদল সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল। সোমবার দিবাগত রাতে শ্রীপুর মডেল থানায় শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শামীম আল মামুন মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলো, কাওরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন প্রধান (৪৫), মিন্টু মিয়া (৩৮), লালু (৩২), আল আমিন (২৫), কামাল হোসেন (৩৫), সাইদুল ইসলাম বেপারী (৫০), শফিকুল ইসলাম বেপারী (৪০), তামিম (৩০), তারেক (২৫) ও শাখাওয়াত শাখা (২৮)।
গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম বেপারী (৪০), কাওরাইদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক এসআই শামীম (৩৮) কনস্টেবল পলাশ (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৩৪)।
আহত শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক মামলার বাদী এসআই শামীম আল মামুন বলেন, ৯৯৯ এ খবর পেয়ে দুজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পরপরই সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। আমার সঙ্গে থাকা দুজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। একজন পুলিশ সদস্যকে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। আমরা ঝোপঝাড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করি। আমার ওয়াকিটকি ও মোবাইল নিয়ে নেয়। তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত পুলিশ আসলে ওয়াকিটকি মোবাইল আর ডায়েরি ফিরিয়ে দেয় এক নারীর মাধ্যমে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, গতকাল সোমবার ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরপরই অভিযুক্তরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। মারধর কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পুলিশের তিন সদস্যকে। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশের ব্যবহৃত একটি সিএনজি ভাংচুর চালায়। কেড়ে নেয় পুলিশের ওয়াকিটকি মোবাইল ফোন ও ডায়েরি। এঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।