রমজান আলী রুবেল শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রভাবশালীরা খুবলে খাচ্ছেে শীতলক্ষা নদীর পাড়। অবৈধ ভাবে নদীর পাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে মাছের খামার। মাটি কেটে বিক্রি করা গর্তে অবৈধ বালির গদী তৈরি করে চলছে ব্যবসা। নদীর পাড় কেটে নেয়া হচ্ছে মাটি। নদীর পাড় লুটপাটের ঘটনা ঘটছে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা গোসিংগা ইউনিয়নের খোজেখানি গ্রামের শীতলক্ষা নদীর পাড়ে। শনিবার দুপুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে তিনটি ড্রাম ট্রাক ও একটি এক্সকেভেটর জব্ধ করেন।
জানাযায়, স্থানীয় একটি প্রভাব শালী চক্র দীর্ঘ দিন ধরে ওই খানে শীতলক্ষা নদীর পাড় অবৈধ ভাবে কেটে মাটিবিক্রি করে গর্ত তৈরি করেছে। ওই গর্তের একটিতে বর্ষা মৌসুমে প্রাকৃতিক মাছ প্রবেশ করানো হয়। পানি নেমে যাবার সময় অবৈধ ভাবে নদীতে বাধ দিয়ে মাছ ধরেন এক প্রভাবশালী। নদীর পাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে গভীর গর্ত। ওই গর্তে অবৈধ ভাবে বালু মজুত করে বিক্রি করেন বরমী ইউনিয়নের বরামা গ্রামের পলাশ নামের এক ব্যক্তি। পাশেই নদীর পাড় কেটে নিচ্ছেন রবিন নামের এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল ঘটনা¯’লে অভিযান চালান। অভিযানের বিষয় আঁচ করতে পেরে পালিয়ে যান বালুর ব্যবসায়ী পলাশ। পালিয়ে যায় মাটিকাটার বেকু চালক। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ড্রাম ট্রাক ও একটি বেকু(এক্সকেভেটর) আটক করা হয়।
নদীর পাড় কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে রবিন জানান, তিনি নিজেদের জমির মাটি কেটেছেন। বক্তব্য জানতে মোবাইলে ফোন করলে বালুর ব্যবসায়ী পলাশ বলেন, আমার ব্যবসার বৈধ কাগজ আছে। ইউএনও স্যারকে দেখিয়ে সমাধান করেছি।
উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি আতাহার শাকিল জানান, খবর পেয়ে ঘটনা¯’লে অভিযান চালিয়ে নদীর পাড় কাটা ও পাড় দখল করে বালুর গদি নির্মানের সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি ড্রাম ট্রাক ও একটি ভেকু(এক্সকেভেটর) আটক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্যারিষ্টার সজিব আহমেদ বলেন বালুর ব্যবসায়ী পলাশ বালু কেনার রশিদ ও জমির চুক্তি নামা দেখিয়েছেন। জমিটি নদীর না ব্যক্তির সহকারী কমিশনার তদন্তকরে সনাক্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।