হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দ্য নিউজ মেকার। নব্বইয়ের কাছাকাছি বয়সে এসেও প্রতিদিনই নিত্য নতুন চমক তৈরি করে চলছেন তিনি। কেন হঠাৎ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ দূত তা নিয়ে রাজনীতির অন্দরমহলে চলছে নানা আলোচনা। নতুন ধরনের গণতন্ত্রে জাতীয় পার্টি একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। পশ্চিমা অনেক গণতান্ত্রিক দেশ এ বিষয়টি ভাল চোখে দেখে না। বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র হয় না অনেক রাজনৈতিক পণ্ডিতও এ মত দিয়ে থাকেন। সম্প্রতি দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পর প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে সরকার। এ পরিস্থিতিতে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এমনকি তিনি এ-ও বলেন, সবাই সরকারের বিদায়ের অপেক্ষায় আছে। সরকারের বিরুদ্ধে এরশাদের এ কঠোর অবস্থান রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি করে। যদিও তিনি যথারীতি বহাল থাকেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পদে। তার দলের মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এই যখন অবস্থা তখন একটি সূত্র জানাচ্ছে, মূলত ক্ষমতাসীনদের সম্মতি নিয়েই সরকারের সমালোচনায় মুখর রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এ সমালোচনার আগে তিনি কথাও বলেছেন সরকারি দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে সব ধরনের সরকারি সুবিধা ভোগ করেন। তিনি যে গাড়িতে চড়েন সে গাড়িতে থাকে জাতীয় পতাকা। তার গাড়ির তেল আসে সরকারি কোষাগার থেকে। এ অবস্থায় তিনি যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন ক্ষমতাসীনদের সবুজ সংকেত ছাড়া এসব বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয়।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অবশ্য সবসময় বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্তাকর্ষক এক চরিত্র। ক্ষমতা থেকে পতনের পর দীর্ঘ সময় কারাভোগ করতে হলেও পরে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে। কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে কারাগার এড়িয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগেও যথারীতি তিনি চমক তৈরি করেন। শুরুতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার পর ঘোষণা দেন নির্বাচন বর্জনের। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয় না। যদিও এরশাদকে ওই ঘোষণা দিতে একজন কূটনীতিক প্রভাবিত করেছিলেন বলে আলোচনা রয়েছে। পরে অবশ্য এরশাদের স্থান হয় হাসপাতালে। তার স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচন পর রওশন হন বিরোধীদলীয় নেতা। এরশাদ হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। মাঝে মাঝেই এরশাদ মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সে ঘোষণা অবশ্য কার্যকর হয়নি। যদিও নিজের পদ ছাড়ার ঘোষণা তিনি কখনও দেননি।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অবশ্য সবসময় বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্তাকর্ষক এক চরিত্র। ক্ষমতা থেকে পতনের পর দীর্ঘ সময় কারাভোগ করতে হলেও পরে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে। কখনও আওয়ামী লীগ, কখনও বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে কারাগার এড়িয়েছেন। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগেও যথারীতি তিনি চমক তৈরি করেন। শুরুতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার পর ঘোষণা দেন নির্বাচন বর্জনের। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয় না। যদিও এরশাদকে ওই ঘোষণা দিতে একজন কূটনীতিক প্রভাবিত করেছিলেন বলে আলোচনা রয়েছে। পরে অবশ্য এরশাদের স্থান হয় হাসপাতালে। তার স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচন পর রওশন হন বিরোধীদলীয় নেতা। এরশাদ হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। মাঝে মাঝেই এরশাদ মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সে ঘোষণা অবশ্য কার্যকর হয়নি। যদিও নিজের পদ ছাড়ার ঘোষণা তিনি কখনও দেননি।