ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে নুয়ে পড়েছে পাকা ধান, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

Slider রংপুর


ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে টানা দুদিনের বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে ঠাকুরগাঁও‌য়ে পাকা আমন ধান নুয়ে পড়েছে। এছাড়া ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য। কৃষকরা বলছেন, পাকা আমন ধান ঘরে তোলার এখনই মোক্ষম সময়। এই মুহূর্তে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী দুইদিন রোদ না হলে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপ‌জেলার বি‌ভিন্ন এলাকার ফসলি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে অনেক স্থানে পাকা ও আধাপাকা ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এতে পাকা আমন ধান নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে জমিতে কেটে রাখা ধান নিয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তারা। ধানগুলো ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা।

সদরের সালান্দর এলাকার কচুবা‌ড়ি গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, আকাশ পরিষ্কার থাকায় জ‌মিতে পাকা ধান কেটে রেখেছিলাম শুকানোর জন্য। কিন্তু গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি হওয়ায় এখন দুশ্চিন্তায় পড়ে‌ছি।

তার কথা শেষ না হতেই সা‌মিউল ইসলাম নামে আরেক কৃষক জানান, গতবার ধানের ভালো দাম পাননি তারা। এসব নিয়ে হতাশায় ছিলেন। গত সপ্তাহ থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ঝড়বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষ‌তির আশঙ্কা আছে। তাদের জন্য যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’।

সদরের রায়পুর এলাকার কৃষক বেলাল হোসেন জানান, বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে ইতোমধ্যে তাদের চরম ক্ষতি হয়ে গেছে। এক একর জমিতে আগে যেখানে প্রায় ৪০ মণ ধান পাওয়া যেত, এখন সেখানে ৩০ মণ করে হতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার পাঁচ উপজেলায় আমন ধানের চাষ হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬০ হেক্টর। এর মধ্যে বিভিন্ন জাতের আগাম জাতের ধানের আবাদ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টরে।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি আর না হলে ধানের বেশি ক্ষতি হবে না। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে যে সমস্ত ক্ষেতের ধান নুয়ে পড়েছে, সেসব ক্ষেতের ধান দ্রুত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *