শারমিন সরকার
ব্যুরো চীফ
গ্রাম বাংলা নউজ২৪.কম
শ্রীপুর অফিস: শ্রীপুরে যৌতুক না পেয়ে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করেছেন স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্যরা। ওই ঘটনায় পুলিশ শশুড়কে আটক করেছে।
মঙ্গলবার শ্রীপুর পৌরএলাকার কেওয়া উত্তর খন্ড গ্রামে জনৈক এমদাদুল হকের বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় গুরুতর আহত গৃহবধূ সানজিদা আক্তার সান্তা(২৫)কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। তার অবস্থা আশংকামুক্ত নয়।
আহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বছর খানেক আগে পৌর সভার কেওয়া উত্তর খন্ড গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা সানজিদা আক্তার শান্তার সাথে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের এমদাদুল হকের পুত্র আলমগীর হোসেনের বিয়ে হয়।
সূত্র জানায়, বিয়ের পর থেকে আলমগীর স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করে আসছেন। যৌতুক না পেয়ে তিনি কয়েকবার স্ত্রীকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেন।
মঙ্গলবার সেহরির সময় আলমগীর স্ত্রী শান্তার নিকট পুনরায় যৌতুক দাবি করেন। শান্তা এ সময় যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় আলমগীরসহ বাড়ির অন্যান্যরা তার হাত-পা বেঁধে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় উভয়ের ধ্বস্তা-ধ্বস্তি ও শান্তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে সানজিদা আক্তার শান্তা বাদী হয়ে আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি করে বাড়ির ৫ জনের নামে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে শ্বশুর এমদাদুল হককে গ্রেফতার করে।
শ্রীপুর থানার ওসি মহসিন উল কাদির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।