ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১২ ঘন্টা যাবৎ অস্বাভাবিক যানজটে

Slider বাংলার মুখোমুখি

গাজীপুর: আব্দুল্লাহপুর -টঙ্গী হয়ে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অসহনীয় যানজট লেগে আছে। মধ্যরাতেও শ্রমিক আন্দোলনে বন্ধ ছিল গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। আজ সকাল ৮ টা থেকে আবারো শ্রমিক আন্দোলন, অবরোধ, রাস্তা বন্ধ। ফলে গতকাল সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আজ বেলা ১২ টা পর্যন্ত অস্বাভাবিক যানজটের কবলে পড়ে আছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। এই যানজটের প্রভাবে অন্যান্য মহাসড়কেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে ছোট ছোট সড়ক আঞ্চলিক সড়ক ও শাখা সড়কেও এখন যানজট।

আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা ১২ টা পর্যন্ত এই অবস্থা চলমান।

জানা যায়, পোশাক শ্রমিকদের অবরোধের ফলে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত বন্ধ ছিলো দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সচল হয় এই মহাসড়কটি। তবে সচল হওয়ার ছয়ঘন্টা পর ফের বন্ধ হয়ে গেছে এই মহাসড়ক। সকাল ৮ টার দিকে গাজীপুর মহানগরের ভোগরা এলাকায় আবারো মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে অ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। একই ধরনের আন্দোলন বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে মহাসড়কের একাধিক স্থানে।

অ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকেরা জানায়, কারখানাটি আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা আমাদের পাওনা না পাওয়া পর্যন্ত সড়ক থেকে উঠবোনা। আজকে মাস শেষ কালকে থেকে বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়ার জন্য তাগাদা দিবে। সন্তানদের স্কুল-কলেজে বেতন দিতে হবে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর মহানগর সভাপতি শফিউল আলম বলেন,মালিকপক্ষ গত ১৪ আগষ্ঠ কারখানাটি বন্ধ ঘোষনা করেন এবং যাবতীয় পাওনা পরিশোধে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক ২৫ সেপ্টেম্বর, গত জুলাই মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের তারিখ ছিলো, তারিখ মিস করায় শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ- কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, শ্রমিকেরা গতকাল সন্ধ্যা থেকে আন্দোলন করছে। তারা রাত একটার সময় সড়ক ছেড়ে দিয়েছিল। তবে সকাল আটটার আগে থেকে আবারো আন্দোলন শুরু করেছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে।

বেলা পৌনে একটায় এই রিপোর্ট লেখার সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজট ছিল। মহাসড়ক বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। তবে গাজীপুরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত একাধিক বিকল্প শাখা সড়ক থাকায় মূল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ তুলনামূলক ভাবে কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *