৫ বলের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারকে হারাল ভারত। তাতে চেন্নাই টেস্টে আরও একবার ব্যাকফুটে স্বাগতিকরা। অন্যদিকে দেড়শর আগেই ভারতের ছয় ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ।
৪৩ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। ১ রান নিয়ে উইকেটে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অপর অপরাজিত ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজার সংগ্রহ ৪ রান।
শুরু থেকেই হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদকে খেলতে অস্বস্তিতে ভুগেছেন ভারতের দুই ওপেনার। চতুর্থ ওভারে হাসানের বলে রোহিতের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছিল বাংলাদেশ। আম্পায়ার্স কলের কারণে সে যাত্রায় লেগ বিফোর থেকে বেঁচে যান ভারত অধিনায়ক। তবে নিজের পরের ওভারে ফিরেই রোহিতকে সাজঘরে ফেরান হাসান।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলটি স্টাম্পের ভেতরে রেখেছিলেন হাসান। রোহিত একটু বেশি সাবধানে ডিফেন্স করতে গিয়ে পুরো ব্যাটে পাননি। ব্যাটের কানা নিয়ে বল জমা পড়ে প্রথম স্লিপে শান্তর হাতে। দারুণ লো ক্যাচ নিয়েছেন শান্ত। সাজঘরে ফেরার আগে ১৯ বলে ৬ রান করেছেন রোহিত।
তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শুবমান গিল। অষ্টম ওভারে হাসানের লেগ স্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন গিল। ৮ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া ভারতের ভরসা হয়ে চারে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকেও দাঁড়াতে দেননি হাসান। ১০ম ওভারে হাসানের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপার লিটনকে ক্যাচ দেন কোহলি। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬ বলে ৬ রান।
হাসানের তাণ্ডবের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ভারত
৩৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জয়সাওয়াল ও পান্তের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ভারত। এ দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৬২ রান। ৩৯ রান করে পান্ত বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। এই উইকেটকিপার ব্যাটারকেও ফেরান হাসান। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের খাটো লেংথের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন পান্ত।
পান্তের বিদায়ের পর লোকেশ রাহুলকে নিয়েও বড় জুটির পথে এগোচ্ছিলেন জয়সাওয়াল। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি স্পর্শ করে আর বেশি দূর এগোতে পারলেন না তিনি। ইনিংসের ৪২তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পান নাহিদ রানা। তার করা ১৪৮ কিলোমিটার গতির বলটি জয়সাওয়ালের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে সাদমানের হাতে জমা পড়েছে। ১১৮ বলে ৫৬ রানে আউট হন এই তরুণ ওপেনার।
এর তিন বল পরই সাজঘরে ফেরেন আরেক সেট ব্যাটার লোকেশ রাহুলও। ইনিংসের ৪৩তম ওভারে বোলিংয়ে ছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওভারের তৃতীয় বলে শর্ট লেগে জাকির হাসানকে ক্যাচ দেওয়ার আগে রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ বলে ১৬ রান।