শ্রীপুরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নদী ভরাট কাজ বন্ধ

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি

রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরে ধনুয়া এলাকায় বালু ভরাট করে লবলং নদী দখল করে নিচ্ছে ডেকো গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরজমিনে লবলং নদীর পাড় গিয়ে দেখা যায় নয়নপুর চকপাড়া সংযোগ সড়কের ব্রিজ থেকে দক্ষিণ দিকে লবলং নদীর পাড় এবং নদীর আংশিক ডাম ট্রাক দিয়ে বালি ফেলে ভরাট করে দখলে নিচ্ছে ডেকু গার্মেন্টস নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নদীর পাড় এবং নদীর অর্ধাংশে বালি ফেলে ডেকু গার্মেন্টসের রাস্তা তৈরি করতে দেখা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী বা খালের দুই পাশ দখল করে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠায় গতিপথ সরু হয়ে গেছে ওইসব কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত পানি নদীতে পড়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তীরবর্তী নিচু ফসলি জমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় অনাবাদি রয়েছে কয়েক বছর ধরে। নদী দখলমুক্ত ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ তাদের। পরিবেশ দূষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

খাল দখলের ঘটনাটি যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদপত্রে ছড়িয়ে পড়লেই উপজেলা প্রশাসন শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন,
শ্রীপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত কারখানার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে খাল থেকে বালি সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপজেলা ভুমি অফিসে দেয়ার জন্য বলেন, তিনি আরো বলেন পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়ার আগ পর্যন্ত খালের পাসে সকল কাজকর্ম বন্ধ রাখার জন্য।

স্থানীয় বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন খান বলেন, লবলং নদীটি আমাদের এলাকার ঐতিহ্যের চিত্র। বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকেরা এবং এলাকার কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা যেন খাই দাই দখল করে নদীটি এখন নালায় পরিণত হয়েছে। লবলং নদীর শেষ অস্তিত্বটুকুও ভরাট করে রাস্তা বানিয়ে নিচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী বাধা দিতে গেলে চাঁদাবাজির মামলা খেতে হয়। লবলং নদী ভরাটের ফলে কৃষি জমিতে সবসময় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে, আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি আমাদের লব নদীকে রক্ষা করুন। না হলে লবলঙ্গ নদীর পাড়ের কৃষকদের না খেয়ে থাকতে হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী বা খালের দুই পাশ দখল করে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠায় গতিপথ সরু হয়ে গেছে। ওইসব কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত পানি নদীতে পড়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তীরবর্তী নিচু ফসলি জমিগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় অনাবাদি রয়েছে কয়েক বছর ধরে। নদী দখলমুক্ত ও ফসলি জমি রক্ষার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ তাদের। পরিবেশ দূষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারছে না।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও সজিব আহমেদ জানান, নদী জবরদখল করে রাস্তা নির্মাণ এটা কিভাবে সম্ভব। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *