দুই দিনের সফরে আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব দপ্তরের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম সফর হতে যাচ্ছে। প্রতিনিধিদলের সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে। তবে মূল আলোচনার ফোকাস হবে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আজ পৃথক পৃথকভাবে ওয়াশিংটন ও দিল্লি থেকে ঢাকায় আসবেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আসবেন দিল্লি হয়ে। মার্কিন প্রতিনিধিদল সফরের শুরুর দিন একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা আগামী রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে প্রতিনিধিদলটি পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সভায় অংশ নেবেন। ওইদিন বিকেলে প্রতিনিধিদলপ্রধান নেইম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলে ডোনাল্ড লু ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (ইউএসএআইডি) উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউর, যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ রয়েছেন।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের আলোচনা শুরু করার আগে আমি কোনও ধরনের মন্তব্য করতে চাই না, যেটি আলোচনার স্বাভাবিকতা ক্ষুণ্ন করে। আমি শুধু এটি বলতে পারি যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রতিনিধি দল আসছে; তারা যে এই সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় সেটির বড় প্রতিফলন ঘটছে এর মাধ্যমে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পরিচয় দেখলে বোঝা যায় এই আলোচনা বহুমাত্রিক হবে। এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে মধ্যে সীমিত থাকবে না। আমরাও এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে, গত ১০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন থেকে একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করবে।