রমজান আলী রুবেল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,পরিষদে না যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। জন্ম নিবন্ধন, নাগরিকত্ব সনদ, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট সহ নানা সমস্যায় ভুগছে ইউনিয়নের নাগরিকরা।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা মেয়র ও চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবর্তনের পর সরকার সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে কিংবা পরিষদে না যাওয়ায় নাগরিক সেবা ব্যাহতের কারণে এমন সিদ্ধান্ত বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সরকারের ওই চারটি প্রতিষ্ঠানের পদ থেকে মেয়র চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হলেও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ক্ষেত্রে ভিন্ন নীতি সরকারের।
দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে আছেন। কোথাও কোথাও চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভও করছেন।
এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পদত্যাগ করলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ শূন্য হবে। এছাড়া পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবে।
তবে পদ শূন্য হওয়া ছাড়াও আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি বা দণ্ডিত হলে, পরিষদের স্বার্থ পরিপন্থি কাজ করলে চেয়ারম্যানদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে পারবে সরকার।
এছাড়াও দুর্নীতি, অসদআচরণ বা অনৈতিক স্খলনজনিত কোন অপরাধ কিংবা বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তাদেরকে অপসারণ করতে পারে সরকার। বর্তমানে বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের অন্তর্গত ৬৪টি জেলায় মোট ৪৯৫টি উপজেলা ও ৪৫৭৮ টি ইউনিয়ন রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতাহার শাকিল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পরিষদে না যাওয়ার বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্বোধন ও কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে, সমস্যার সমাধান করা হবে, যে সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিরাপত্তা জনিত কারণে, অথবা অন্য কোন কারণে পরিষদে যাচ্ছেন না। তাদের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।