ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো নির্ণয় এবং অনুসরণ করার চেষ্টা করবেন তারা।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজিব সিকরির নতুন বই ‘স্ট্রেটেজিক কনানড্রামস : রিশেপিং ইন্ডিয়াস ফরেন পলিসি’ নামের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
জয়শঙ্কর অনুষ্ঠানে জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ভালো-খারাপ উভয় সম্পর্ক চলে আসছে। এছাড়া বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করাটাই ভারতের জন্য স্বাভাবিক। তবে সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, এটি স্বীকার করতে হবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন বিঘ্নকারী হতে পারে।
জয়শঙ্কর বলেছেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের সম্পর্ক উঠানামা করেছে। আর এটি খুবই স্বাভাবিক যে আমরা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করব। কিন্তু আমাদের সঙ্গে স্বীকার করতে হবে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন হচ্ছে। আর এটি বিঘ্নকারী হতে পারে। স্পষ্টভাবে আমাদের এখানে পারস্পরিক স্বার্থকে দেখতে হবে।”
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে চলে যান তিনি।
এরপর থেকেই হাসিনাকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি দাবি বাড়ছে। কারণ বাংলাদেশের সব মানুষ চান হাসিনা যেন বিচারের মুখোমুখি হন এবং গত ১৫ বছর যে দুঃশাসন তিনি চালিয়েছেন সেটির বিচার হোক।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সবার আগে শুভেচ্ছা জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর গত ১৭ আগস্ট মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইউনূস। এই সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়। ওই সময় ইউনূস মোদিকে বলেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে না। এছাড়া এ বিষয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন করতে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানান তিনি।