সচিবালয় ঘেরাওকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনকি এই ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আনসার সদস্যদের সচিবালয়ে কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে ‘আনসার ক্যু’ হিসেবে উল্লেখ করে আগামীদিনে কোনো ধরনের ক্যু’র (অভ্যুত্থান) চেষ্টা হলে ভয়াবহ পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।
রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ তার স্ট্যাটাসে বলেন, ‘কোনো ষড়যন্ত্রই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে যথেষ্ট হবে না। জুডিশিয়াল ক্যু, পথভ্রষ্ট আনসার ক্যু’র উদাহরণের পরেও যদি সাবধান না হোন তবে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।’
এর আগে রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে আটক রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে।
প্রথমদিকে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হলেও একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।
তারও আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।