বগুড়ার সোনাতলায় খড়ের সংকট, ঘাসের উপর ভরসা করতে হচ্ছে কৃষকদের

Slider কৃষি, পরিবেশ ও প্রকৃতি


মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়া জেলার “সোনাতলায়” খড়ের চরম সংকট দেখা দেওয়ায় চরাঞ্চলে বেড়ে ওঠা ঘাসের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে কৃষক। বগুড়া জেলার “সোনাতলায় “গো-খাদ্য খড়ের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও খড় পাওয়া গেলেও মূল্য কৃষকের হাতের নাগালের বাইরে। এছাড়াও খৈল, ভুষি, গুড়া, খুদ, ভুট্টা’র দাম বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষকেরা এখন যমুনা নদীর চরাঞ্চলে প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে ওঠা ঘাস সংগ্রহ করেছে।উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট উপজেলায় ৫৬টি ডেইরী ফার্ম রয়েছে। এ সকল ডেইরী ফার্মে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার গবাদি পশু রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ১৩১টি গ্রামে কৃষকের গবাদি পশুর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।এ সকল গবাদি পশুর দৈনন্দিন খাবারের জন্য প্রচুর পরিমাণ খড়ের প্রয়োজন হয়। আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, গবাদি পশুর খাবার আশপাশের উপজেলা থেকে সংগ্রহ করার পরেও চলতি বছর গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও উপজেলার অনেক এলাকায় কৃষক নেপিয়ার ঘাস চাষ করেছে। চাহিদার তুলনায় ঘাসের উৎপাদন কম। তাই কৃষককে বাড়তি খাবার সংগ্রহ করতে ব্যস্ত থাকতে হয়।এ বিষয়ে উপজেলার রানীরপাড়া এলাকার কৃষক,হাজী রহিম বক্স সরকার(১০২) বলেন, তার ৬টি গাভী রয়েছে। গাভীর খাদ্য সংগ্রহের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। একই এলাকার সাজু মন্ডল (৬০) ও ফরিদুল ইসলাম (৪৫) তাদের দুজনের প্রায় ১২টি গবাদি পশু রয়েছে।বাজারে গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চল থেকে ঘাস সংগ্রহ করে আনতে হয় তাদের। উপজেলার পাকুল্লা এলাকার এগ্রো ডেইরী ফার্মের মালিক হুমায়ন কবির সুমন সরকার বলেন তার ফার্মে ৮২টি গরু রয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে ওঠা ঘাস সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না তার পক্ষে। তাই প্রতিদিন গরুর খাবার বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়।এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান লাকি বলেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলার ১৩১টি গ্রামে প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার মানুষের বসবাস। প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য গবাদি পশু পালন করে।উৎপাদনের তুলনায় সংশ্লিষ্ট উপজেলায় গো খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এবারও গো খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে। পাশাপাশি বাজারে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষক হতাশায় রয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *