আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বুধবার (৭ আগস্ট) সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, আগামীকাল শপথ অনুষ্ঠানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। একটা প্রস্তাব ছিল বিকেলে করার। সেটা অত্যন্ত টাইট শিডিউল হয়ে যায়। কারণ, ড. মোহাম্মদ ইউনুস ২টা ১০ মিনিটের দিকে দেশে আসবেন। এর পরপর আয়োজন করা কঠিন। এজন্য রাত ৮টার দিকে আয়োজন করতে পারি। মোট ৪০০ জন লোকের আয়োজন থাকবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আকার কেমন হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ধারণা আপাতত ১৫ জনের মতো হতে পারে। তারপরও দুই-একজন যোগ হতে পারে।
তিনি আরও জানান, ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনী।
দেশ গঠনে ছাত্রদের ভূমিকা অব্যাহত রাখার অনুরোধ
রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন স্থানের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার এবং রাস্তাঘাটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা যে ভূমিকা রাখছে তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন, ছাত্ররা আমাদের সাহায্য করছে। গ্রামেগঞ্জে ছাত্ররা কাজ করছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই।
একই সঙ্গে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।
তিনি আরও জানান, ড. ইউনূস আগামীকাল আসবেন। আমি তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করব। আশা কারি, আগামীকাল (৮ আগস্ট) রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে ঢাকায় হাজারো ছাত্রজনতার ঢল নামে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করার দাবি ওঠে।