পাল্টাপাল্টি সমাবেশ-স্লোগানের মধ্যেই নিউ ইয়র্ক পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী

Slider জাতীয় সারাবিশ্ব

93917_Untitled-1

 

 

 

 

সুরম্য টার্মিনাল ভবনের বাইরে তখন মুহুর্মুহু পাল্টাপাল্টি স্লোগানের ঝড়। বিমান বন্দরে আগন্তুক নানান দেশের যাত্রীরা অবাক হয়ে সেই অচেনা দৃশ্য দেখছেন। বিবদমান দুই পক্ষকে সামাল দিতে গিয়ে নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের একদল চৌকষ সদস্য রীতিমতো গলদঘর্ম। এমন পরিস্থিতিতেই বৃটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটযোগে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ঠিক ১০টায় নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অবশ্য উত্তেজনামূখর সেই দৃশ্য দেখার সুযোগ তাঁর হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রটোকল কর্মকর্তারা টার্মিনাল ভবন থেকে সরাসরি ভিন্ন পথ দিয়ে তাঁকে হোটেলের উদ্দেশ্যে নিয়ে রওয়ানা দেন। প্রবাসী বাংলাদেশীরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তাদের কাছে এটা কোনও নতুন দৃশ্য নয়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে এমন দৃশ্যের অবতারনা হচ্ছে নিউ ইয়র্কে। তবে এবার উত্তেজনাটা ছিল একটু বেশি। আওয়ামী লীগ নেতা ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিজাম চৌধুরী ও সাজ্জাদুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েক’শ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী বিমানবন্দরে জমায়েত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে নানা রকম শ্লোগান দেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ সম্রাট, জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান মিল্টন ভূঁইয়া, শরাফত হোসেন বাবু ও গিয়াস আহমেদের নেতৃত্বে কয়েক’শ বিএনপি নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের বিরূদ্ধে নানা রকম শ্লোগান দেন।
এদিকে জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে আসা প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দওে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়া উদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মোমেন ও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ। সেখান থেকে তাঁকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় ম্যানহাটনের ঐতিহ্যবাহী হোটেল ওয়াল্ডর্ফ এস্টোরিয়ায়। নিউ ইয়র্ক অবস্থানকালীন আগামী ১০ দিন তিনি এই হোটেলেই থাকবেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা সাধারণ অধিবেশনে ভাষন দেবেন। অন্যদিকে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্ক সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনও থাকছেন একই হোটেলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাত ১১টার দিকে হোটেলে পৌঁছানোর পর সেখানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছ জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস ও নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *