গাজীপুর: কোটাবিবোধী আন্দোলনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের ছয়দানার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে মেয়র জায়েদা খাতুনের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহবুব আলমসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেন, কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে একটি পক্ষ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল। আমাদের নেতাকর্মীরা সজাগ ছিল। কারফিউ জারি করার পর সেনাবাহিনী মাঠে আসে, আমাদের নেতাকর্মীরা মাঠ থেকে সরে গিয়েছিল। এ সুযোগে ওই পক্ষ গাজীপুর সিটি মেয়রের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলায় সময় বাড়ির গেট, বাড়ির ভেতরের কয়েকটি জায়গা ও বাইরে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে বাড়ির জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় বাড়ির ভেতরের একটি কক্ষে আগুন বা কোনো কিছুর বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কম্পিউটারসহ অনেক আসবাব পুড়ে গেছে। সেটি আগুন না অন্য কিছু তা তদন্তে প্রকাশ পাবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এটা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আমরাও সারা জীবন আন্দোলন করেছি, আন্দোলন হয় রাজপথে, হয়তো বা মারামারিও হয়। পক্ষ-বিপক্ষ হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত বাড়িঘরে আক্রমণ এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এটা কোনো মতেই রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ হতে পারে না। এটা প্রতিহিংসামূলক ব্যাপার। জামায়াত-শিবির বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। এখানেও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মেয়রের বাড়িতে হামলা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম বলেন, গত শনিবারের আন্দোলনের সময় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ কেউ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এর আগের দিন শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুনের ছেলে, সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম কোটা আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জাহাঙ্গীর আলমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে বলে জানা গেছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা জুয়েল মোল্লা নামে জাহাঙ্গীর আলমের এক ব্যক্তিগত সহকারীকে পিটিয়ে হত্যা করে।