চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যাওয়া বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার

Slider বাংলার মুখোমুখি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ওই যুবক চিকিৎসার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন এবং শহরের সায়েন্স সিটির কাছে একটি জলাশয় থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ওই বাংলাদেশি যুবকের নাম মো. দাউদ হোসেন। বুধবার কলকাতার সায়েন্স সিটির কাছে মেট্রো স্টেশনের পাশের একটি জলাশয়ে ২৩ বছর বয়সী এই যুবককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তিনি বাংলাদেশের মিরপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, দাউদ হোসেন কলকাতার নিউমার্কেটের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানতে পেরেছে তার মানসিক অসুস্থতা রয়েছে এবং তিনি চিকিৎসার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।

কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দাবাজার বলছে, সায়েন্স সিটি এলাকার প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় বরুণ সেনগুপ্ত মেট্রো স্টেশনের কাছের একটি জলাশয়ে পড়ে ছিল ওই যুবকের লাশ। উদ্ধারের পর তাকে বংলাদেশি হিসাবে শনাক্ত করে পুলিশ। কী ভাবে তিনি ওই এলাকায় গেলেন এবং কী ভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দাউদ হোসেন উপল নামের এই যুবক কিছু দিন আগে কলকাতায় গিয়ে উঠেছিলেন নিউ মার্কেট থানা এলাকার একটি হোটেলে। সেখান থেকে কী উদ্দেশ্যে সায়েন্স সিটির দিকে গিয়েছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, মৃত ওই যুবক আত্মহত্যা করেছেন। কারণ তাকে ওই জলাশয়ে ঝাঁপ দিতে দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টার আগে হঠাৎ ওই জলাশয়ে ঝাঁপ দেন যুবক। স্থানীয়রা সেই দৃশ্য দেখতে পান এবং পরে পুলিশকে জানান।

পরে স্থানীয়দের সাহায্যে পুলিশ জলাশয় থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে এবং তাকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পানিতে ডুবেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য তার কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

তবে সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্য কোনও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে মৃত যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *