গত ১২ বছরে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এতে ‘প্রধানত’ জড়িত ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তিন কর্মকর্তা। প্রশ্নফাঁসের সব ঘটনার ‘নাটের গুরু’ তারা। পিএসসির কঠিন নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেদ করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বের করে আনতেন তারা। এরপর চক্রের বাকি সদস্যদের হাতে তুলে দিতেন। প্রশ্নফাঁসের এই খেলায় অনেকটা রাজা-উজিরের ভূমিকা পালন করতেন তারা। আর ‘দাবার ঘুঁটি’ হিসেবে ব্যবহৃত হন গাড়িচালক আবেদ আলীসহ অন্যরা।
প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গতকাল পিএসসির তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। সিআইডি বলছে, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবিরই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বাকিদের হাতে তুলে দিতেন। চক্রের বাকি সদস্যরা কেউ চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করতেন, কেউ প্রশ্নপত্র পেয়ে তা সমাধান করতেন, কেউবা চাকরি প্রার্থীদের ঢাকায় এনে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করতেন। প্রতিটি ধাপেই ছিল কমিশন-কমিশন খেলা। সব টাকা আসত চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে।
চক্রে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলী যেমন আছেন, তেমনি প্রাক্তন সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়ও রয়েছেন। চক্রটির ক্ষমতা ছিল ব্যাপক। যে কারণে বিসিএসের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেও বেগ পেতে হয়নি তাদের।
পিএসসির প্রশ্নফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পিএসসির তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গতকাল গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার এজাহার এবং সিআইডির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা দায়ের করেন সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ পরিদর্শক নিপ্পন চন্দ্র চন্দ। ওই মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ আসামিকে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে সাতজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) তাদের জবানবন্দি রেকর্ডের প্রক্রিয়া চলছিল। বাকি ১০ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সৈয়দ আবেদ আলীকে (৫২)। নথিতে তার পেশা রেন্ট এ কারের ব্যবসা দেখানো হয়েছে। তবে তিনি দীর্ঘদিন পিএসসির চেয়ারম্যানের ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রশ্নফাঁসে পিএসসির কর্মকর্তারা হলেন মূল খেলোয়াড়। উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর ও জাফর এবং সহকারী পরিচালক আলমগীর প্রশ্ন ফাঁস করতেন। অফিস সহকারী সাজেদুল, ডেসপাস রাইটার খলিলদের মাধ্যমে প্রার্থী সংগ্রহ করে ফাঁস করা প্রশ্ন সরবরাহ করা হতো। ভাড়া বাসায় ডেকে প্রার্থীদের তা পড়ানো হতো। বিনিময়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। গাড়িালক সৈয়দ আবেদ আলী লেনদেন ও প্রশ্নফাঁসের বুথ পরিচালনা করতেন।
সিআইডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা
মামলায় ২ নম্বর আসামি নোমান সিদ্দিকী (৪৪)। লক্ষ্মীপুরের রামগতির এ বাসিন্দা থাকেন রাজধানীর মিরপুর-১০ সেনপাড়া পর্বতা এলাকায়। তার পেশা পোশাক কারখানার ব্যবসা। ৩ নম্বর আসামি খলিলুর রহমান (৩৮) পিএসসির ডেসপাস রাইটার। ৪ নম্বর আসামি মো. সাজেদুল ইসলাম (৪১) পিএসসির অফিস সহায়ক। ৫ নম্বর আসামি মিরপুর ইসিবি চত্বরের ডেভেলপার ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল (৩৫)। ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে পিএসসির উপ-পরিচালক (সিলেট) জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৮)। ৭ নম্বর আসামি পিএসসির সহকারী পরিচালক এসএম আলমগীর কবীর (৪৯), ৮ নম্বর আসামি গাজীপুর সেনানিবাসের অডিটর প্রিয়নাথ রায় (৫১), ৯ নম্বর আসামি মিরপুরের জাহিদুল ইসলাম (২৭), ১০ নম্বর আসামি পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর (৫৭)।
বাকি আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুল হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন, ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকার এবং গাড়িচালক আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।
পিএসসির প্রাক্তন সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া, দীপক বণিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথকে পলাতক আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে।
কার কী ভূমিকা, কখন কীভাবে গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানতে পারে, গত শুক্রবার (৫ জুলাই) পিএসসি কর্তৃক আয়োজিত রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন ক্যাডার) পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের পূর্বে একদল নিয়োগ প্রার্থী পরীক্ষার্থীর কাছে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নপত্র এবং উত্তর বিতরণ করে।
গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিরা রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, বসুন্ধরাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে এমন তথ্য পায় সিআইডি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে একাধিক দল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
প্রথমে আটক করা হয় ১৬ নম্বর আসামি লিটন সরকারকে (২৫)। তাকে ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে গত রোববার (৭ জুলাই) রাতে আটক করা হয়।
লিটন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সহযোগী প্রিয়নাথ ও জাহিদের কাছ থেকে তিনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেয়েছেন। প্রশ্ন ও উত্তরের বিনিময়ে লিটন প্রিয়নাথ ও জাহিদকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ প্রদান করেন। এরপর মহাখালী এসকেএস টাওয়ারের ফুড ভিলা হোটেল থেকে ৮ নম্বর আসামি প্রিয়নাথ রায়কে (৫১) ওই রাতেই আটক করা হয়।
প্রিয়নাথ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি অভিযুক্ত জাহিদের কাছ থেকে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেয়ে থাকেন। প্রশ্ন ও উত্তরের বিনিময়ে তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জাহিদকে প্রদান করতেন। ওই রাতেই জাহিদুল ইসলামকে (২৭) শ্যামলী এলাকা থেকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত জাহিদ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, রংপুর জেলার বাসিন্দা সুমনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র জোগাড় করা হতো এবং জাহিদ নিজে যে পরিমাণ টাকা গ্রহণ করতেন তার একটা বড় অংশ সুমনকে দিতেন। এরপর চক্রের সক্রিয় সদস্য ও ২ নম্বর আসামি নোমান সিদ্দীকীকে (৪৪) মিরপুর-১০ এলাকার নিজ ফ্ল্যাট থেকে আটক করা হয়। প্রশ্নফাঁসে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
তার প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয় ৬ নম্বর আসামি পিএসসির উপ-পরিচালক (সিলেট) জাহাঙ্গীর আলমকে (৫৮)। এরপর শাহাদাত হোসেনকে মিরপুর থেকে এবং শেরে বাংলা নগর এলাকা থেকে মামুন ও নিয়ামুলকে আটক করা হয়। নিয়ামুলই প্রথম প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য খলিলের নাম জানান।
খলিল গত শুক্রবার (৫ জুলাই) রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (নন ক্যাডার) পদের নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দীর্ঘদিন ধরে ফাঁস করে আসছিলেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর পীরেরবাগ এলাকা থেকে খলিলকে আটক করা হয়।
খলিলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাকে এসব পরীক্ষার জন্য প্রার্থী সরবরাহ করতেন পিএসসির সহকারী পরিচালক আলমগীর। আলমগীর রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের (নন ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দীর্ঘদিন ধরে ফাঁস করেছেন। মিরপুর এলাকার সরকারি আবাসন থেকে গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আলমগীরকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই বাছাইয়ে চক্রের অন্যতম মূলহোতা সাজেদুল ইসলামের নাম উঠে আসে।
সাজেদুল জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন পিএসসির উপ-পরিচালক আবু জাফর। তার মাধ্যমে ফাঁস করা প্রশ্ন সংগ্রহ করতেন তিনি। এরপর সহযোগী সাখাওয়াত ও সাইমের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় ভাড়া করা বাসা বা হোটেলে জড়ো করতেন সাজেদুল।
নিয়োগ পরীক্ষার এক-দুই দিন পূর্বে পরীক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর বিতরণ করতেন সাজেদুল। একই কায়দায় গত শুক্রবার (৫ জুলাই) পিএসসি কর্তৃক আয়োজিত রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নিয়ামুল পল্টন এবং খিলগাঁও এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রার্থীদের এনে পড়ানো এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সাজেদুলের বক্তব্যে উঠে আসে চক্রের অন্যতম মূলহোতা পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলীর নাম। সাজেদুল জানান, সহযোগীদের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশীদের সংগ্রহ করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে চক্রের অন্যতম মূল সদস্য সৈয়দ আবেদ আলীর কাছে রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর বিতরণ করা হয়েছে।
সাজেদুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাখাওয়াত হোসেন ও ও সাইম হোসেনকে সাজেদুলের বর্তমান বাসস্থান থেকে এবং সৈয়দ আবেদ আলীকে শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকেও জড়িত থাকার তথ্য পেয়ে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত আলামত এবং সৈয়দ আবেদ আলীর বক্তব্যে উঠে আসে, আবু সোলেমান মো. সোহেল নামে এক ব্যক্তি রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থী সরবরাহ করেছেন। এজন্য আবেদ আলী নিজেই বুথ পরিচালনা করেন। পরে সোহেলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া সব আসামির দেওয়া তথ্য এবং জব্দ করা আলামত পর্যালোচনার করে জানা গেছে, রেলওয়ের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিতরণ কাজে জড়িত ছিলেন গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জন। আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে বিগত বছরগুলোর বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত।
উঠে আসছে ‘হাইপ্রোফাইল’ নামও
জানতে চাইলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সিআইডির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রশ্নফাঁসে পিএসসির কর্মকর্তারা হলেন মূল খেলোয়াড়। উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর ও জাফর এবং সহকারী পরিচালক আলমগীর প্রশ্ন ফাঁস করতেন। অফিস সহকারী সাজেদুল, ডেসপাস রাইটার খলিলদের মাধ্যমে প্রার্থী সংগ্রহ করে ফাঁস করা প্রশ্ন সরবরাহ করা হতো। ভাড়া বাসায় ডেকে প্রার্থীদের তা পড়ানো হতো। বিনিময়ে নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। গাড়িালক সৈয়দ আবেদ আলী লেনদেন ও প্রশ্নফাঁসের বুথ পরিচালনা করতেন।
তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত তদন্তে আরও অনেকের নাম পেয়েছি। ‘হাইপ্রোফাইল’ কিছু নামও এসেছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।