লাব্বাইক আল্লাহুম্মা, লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল-হামদা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক। লা শারীকা লাক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান। অর্থাৎ, হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোন শরীক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই। এই আরাফাত ময়দানে দাঁড়িয়েই আজ থেকে ১,৪০০ বছরেরও বেশি আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। আরাফাত পর্বত থেকে আরাফাতের সমতল ভূমি পর্যন্ত হাজীরা অবস্থান নিয়েছেন। সৌদি আরবের বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেয়া তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশের ২০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এ বছর হজব্রত পালনে সমবেত হয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের ১ লাখ হাজীও রয়েছেন। গতকাল হজের চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিতকা শুরু হয়। হাজীরা মিনার ১ লাখ ৬০ হাজার তাঁবুতে রাত যাপন করেন। আজ ভোরে তারা আরাফাত ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। আরাফাত ময়দানেই আজকের দিনটি পবিত্র হজের বিশেষ এবাদত-বন্দেগীতে অতিবাহিত করবেন হাজীরা। হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে গণ্য করা হয় আরাফাত ময়দানে হাজীদের সমবেত হওয়ার এ দিনটিকে। অবশ্য পালনীয় এ আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া হজ পালন জায়েজ নয়। আরাফাত ময়দানে নামাজ পড়ে, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করে ও লাব্বাইক আল্লাহুম্মা, লাব্বাইক ধ্বনিতে দিনটি অতিবাহিত করবেন হাজীরা।
সূর্যাস্তের পর হাজীরা আরাফাত ময়দান ত্যাগ করবেন এবং রাতে পার্শ্ববর্তী এলাকা মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। সেখান থেকে হজের পরবর্তী ধাপের আনুষ্ঠানিকতা পালনে তারা নুড়ি-পাথর সংগ্রহ করবেন। প্রতীকীভাবে মিনায় অবস্থিত যে তিনটি স্তম্ভকে শয়তানের প্রতিনিধি হিসেবে ধরা হয়, সে তিনটি স্তম্ভকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়বেন হাজীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরের পর তারা মিনায় ফিরে যাবেন এ উদ্দেশ্যে। এ আনুষ্ঠানিকতা ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর প্রিয় পশুকে কোরবানি দেয়ার মাধ্যমে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। মঙ্গলবার হজের ৫ দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও, আজকের দিনটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।
সূর্যাস্তের পর হাজীরা আরাফাত ময়দান ত্যাগ করবেন এবং রাতে পার্শ্ববর্তী এলাকা মুজদালিফায় অবস্থান করবেন। সেখান থেকে হজের পরবর্তী ধাপের আনুষ্ঠানিকতা পালনে তারা নুড়ি-পাথর সংগ্রহ করবেন। প্রতীকীভাবে মিনায় অবস্থিত যে তিনটি স্তম্ভকে শয়তানের প্রতিনিধি হিসেবে ধরা হয়, সে তিনটি স্তম্ভকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়বেন হাজীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরের পর তারা মিনায় ফিরে যাবেন এ উদ্দেশ্যে। এ আনুষ্ঠানিকতা ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর প্রিয় পশুকে কোরবানি দেয়ার মাধ্যমে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। মঙ্গলবার হজের ৫ দিনব্যাপী চূড়ান্ত পর্যায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও, আজকের দিনটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।