প্রথমার্ধে উত্তেজনা ছড়ালেও গোল পেতে ব্যর্থ ছিল ব্রাজিল-উরুগুয়ে। সেই উত্তেজনা ক্রমশ বেড়ে যায় পরের অর্ধে। এক পর্যায়ে কড়া ট্যাকল করে লাল কার্ড দেখেন উরুগুয়ে মিডফিল্ডার নাহিতাস নান্দেজ। কিন্তু দশজনের দলের বিপক্ষেও সুযোগটা নিতে পারেন দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে তারা বড় কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। অন্যদিকে, উরুগুয়েও আক্রমণ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। কোনো পক্ষই গোল না পাওয়ায় ম্যাচের ফল নিষ্পত্তি হবে টাইব্রেকারে।
৭৪ মিনিটে রদ্রিগোকে কড়া ট্যাকল করে প্রথমে হলুদ কার্ড দেখেন উরুগুইয়ান মিডফিল্ডার নাহিতাস নান্দেজ। পরে ভিএআর দেখে রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান। ফলে অনেকটা সময় বাকি থাকতেই ১০ জনের দলের পরিণত হয় উরুগুয়ে। তবুও সুযোগ তৈরি করেও, ঠিক গোলের কাছাকাছিও যেতে পারছিল না ব্রাজিল। পরে কোচ দরিভাল জুনিয়র তিনজনকে বদলি নামান। তুলে নেন রাফিনহা-পাকেতা ও গোমেজকে। পরিবর্তে স্যাভিও, আন্দ্রেস পেরেইরা ও ডগলাস লুইজ নামায় সেলেসাওদের খেলায় গতি বাড়ে।
অন্যদিকে, সেভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ৭৮ মিনিটে তুলে নেওয়ার উরুগুয়ে তারকা ডারউইন নুনিয়েজকেও। তবে ১০ জন নিয়ে আক্রমণ সামাল দিতে তাদের হিমশিম খেতে হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল বল পজেশনে এগিয়েও থাকলেও, বড় সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। ডি-বক্স পর্যন্ত গিয়েই বল হারাচ্ছিলেন রদ্রিগো, এন্ড্রিকরা। ৮৫ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে শট নেন এন্ড্রিক, অতটা জোর না থাকায় উরুগুয়ে গোলরক্ষক সহজেই সেটি নিয়ন্ত্রণে নেন।
পরে ব্রাজিল রদ্রিগো, ব্রুনো গুইমারেসকে তুলে মার্টিনেল্লি ও এভানিলসনকে নামায়। তবে কোনো কিছুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলটি আসছিল না। ফলে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য সমতা থাকার ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে।