মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বিচার প্রার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে দেশের আদালত প্রাঙ্গণগুলোতে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপ্রতি ওবায়দুল হাসান।বুধবার,২৬ জুন/২০২৪, দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে “ন্যায়কুঞ্জের” উদ্বোধন করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান উপস্থিত বিচারপ্রার্থী এবং আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে বিশ্রামের সুযোগ থাকে না বলে বিচারাধীন মামলার স্বাক্ষীরা আসতে চান না। ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগার নির্মিত হওয়ার পর সেই কষ্ট থাকবে না। সাক্ষীরা আদালতে আসতে উৎসাহী হবেন এবং তাতে ধীরে ধীরে বিচার প্রক্রিয়ার মন্থরতা কেটে গিয়ে তা আরও ত্বরান্বিত হবে।’প্রায় এক বছর আগে বগুড়ায় এক হাজার বর্গফুট এলাকায় জুড়ে ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই কুঞ্জে বসার জন্য ৭২টি আসনের পাশাপাশি ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার, নারী ও পুরুষদের আলাদা টয়লেট এবং খাবার সংগ্রহের জন্য ফুড কর্ণারও রাখা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১টার দিকে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতি বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত-এর সভা কক্ষে জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক অভিভাষণ প্রদান করেন।প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দেশের আদালতগুলোতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য কোন বিশ্রামাগার না থাকায় তাদের কষ্ট হচ্ছিল। বিষয়টি তাঁর পূর্বসুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনেন। পরে প্রধানমন্ত্রী দেশের সবগুলো আদালত প্রাঙ্গণে বিচার প্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণে সম্মতি দেন এবং তাঁর নির্দেশেই এ জন্য একটি প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়।ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের জন্য প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বিচার প্রার্থীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী দেশের ৬৪টি জেলার সবগুলোতে আদালতে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছন। এজন্য আমরা তাঁকে ধন্যবাদ দিতে চাই। তিনি বলেন, আইনের শাসন মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। সেটা নিশ্চিত করতে হলে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট দূর করা প্রয়োজন এবং ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী সেটাই করেছেন।”ন্যায়কুঞ্জ” উদ্বোধনকালে অন্যান্যের মধ্যে সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান, আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, বগুড়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ,কে,এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, স্পেশাল জজ মোঃ শহিদুল্লাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-এর সদস্য (জেলা জজ) শরনিম আকতার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আশিকুল খবির, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বগুড়ার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান খান মুক্তা, জহুরুল হক জাফর উপস্থিত ছিলেন ও পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল মতিনসহ সিনিয়র আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন