৮৬ রানে ১ উইকেট থেকে ১৩৫ রানে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২ ওভারের শেষেও স্বাগতিকদের রান ছিল ৮৬। ওভারপ্রতি রান আসছিল ৭ এর বেশি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই রানরেট আর ধরে রাখতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। শেষদিকে রানের গতি কমে এসেছে অনেকটাই। তবুও আলজারি জোসেফ আর গুড়াকেশ মোতির কল্যাণে ১৩০ পেরোয় ক্যারিবিয়ানরা।
শুরুটা যদিও সুন্দর হয়নি ক্যারিবিয়ানদের জন্য। প্রথম দুই ওভারেই দুই উইকেটের পতন দেখতে হয় তাদের। শাই হোপ ফিরেছেন গোল্ডেন ডাক মেরে। নিকোলাস পুরানও করেছেন হতাশ। ৩ বলে ১ রান তার। দুই উইকেটেই থাকছে মার্কো জানসেনের নাম। মার্করামের বলে পুরানের ক্যাচ নিয়েছিলেন। আর শাই হোপ আউই-ই হয়েছেন তার বলে।
ব্রেন্ডন কিং ইনজুরিতে ছিটকে গেলে তার বদলে এসেছিলেন কাইল মায়ার্স। সিলেকশন সঠিক ছিল তার প্রমাণ মিলেছে শুরু থেকেই। ৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের ইনিংস মেরামতের কাজ করেছেন তিনি। যদিও সেটা ঠিক টি-টোয়েন্টিসুলভ ইনিংস ছিল না। তবুও, দায়িত্ব নিয়ে গড়েছেন ৮১ রানের বিশাল এক জুটি। ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। ছিল ৩ চার এবং ২ ছক্কার মার।
১২তম ওভারে শেষ বলে তার আউট দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ধস শুরু হয়। ৮৬ রানে ১ উইকেট থেকে ৯৭ রানে দলটি হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। ফিফটি করা রস্টন চেজ, অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল, শেরফেইন রাদারফোর্ডের কেউই আর দাঁড়াতে পারেননি। দুই ছক্কা মেরে আন্দ্রে রাসেল আভাস দিয়েছিলেন ভালো কিছুর।
কিন্তু সব ব্যাটিং বিপর্যয়েই নাকি একটা করে রানআউট থাকে। ক্যারিবিয়ান ইনিংসে তা হলো রাসেলের সঙ্গে। ১১ বলে ৬ রান করে আকিল হোসেনও ফেরেন। শেষ পর্যন্ত উইন্ডিজরা থামে ১৩৫ রানে গিয়ে। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তাবরাইজ শামসি। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জানসেন, মার্করাম, কাগিসো রাবাদা এবং কেশভ মহারাজ।