মাসুদ রানা সরকার, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবর রহমান মজনু এমপি বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্বদানকারী প্রাচীনতম সংগঠন আওয়ামী লীগ। এদেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এই সংগঠন। দীর্ঘ এই পথ চলায় সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ধারাবাহিকভাবে সফলতার দেখা পেয়েছে সব সময়।এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে হৃদয়ে ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরব উজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন তার মূলে রয়েছে এই সংগঠন। তিনি আরও বলেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উন্নয়নশীল দেশ থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।শেখ হাসিনার আপোষহীন সুদৃঢ় ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তার চিরচেনা গৌরব উজ্জ্বল ঐতিহ্যকে সমুন্নত করেছে দিন দিন। সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিতা করেছে। আপনাদের মেধা, পরিশ্রম, ত্যাগ আওয়ামী লীগকে আরও গতিশীল ও শক্তিশালী করবে। উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে, রোববার, ২৩ জুন/২০২৪, সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শোভাযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।প্রাচীনতম সংগঠনটি গণমানুষের আস্থা অর্জন করতে গিয়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে লাখ লাখ নেতাকর্মী রাজপথে নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। সেই সকল সংগ্রামী নেতাদের আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। এদেশের যা কিছু মহৎ অর্জন তার সবকিছু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। আওয়ামী লীগই এ দেশের মানুষের জন্য সবসময় যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেই কারণে আজ এদেশের গণমানুষের একমাত্র আস্থ ও ভরসার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ।সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এড. আব্দুল মতিন, আবুল কালাম আজাদ, এড. মকবুল হোসেন মুকুল, এড. আমানুল্লাহ, প্রদীপ কুমার রায়, মনজুরুল আলম মোহন, একেএম আসাদুর রহমান দুলু, সাগর কুমার রায়, শাহরিয়ার আরিফ ওপেল, এড. জাকির হোসেন নবাব, শাহাদাৎ আলম ঝুনু, এড. সাইফুল ইসলাম, আখতারুজ্জামান ডিউক, আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েল, শেরিন আনোয়ার, এড. শফিকুল ইসলাম আক্কাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান মিন্টু, নাসরিন রহমান সীমা, আনোয়ার পারভেজ রুবন, রুহুল মোমিন তারিক, জহুরুল হক বুলবুল, খালেকুজ্জামান রাজা, আবু সেলিম, আতিকুর রহমান দুলু, অধ্যক্ষ শামসুল আলম জয়, রাহুল গাজী, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আবু সুফিয়ান শফিক, আবু ওবায়দুল হাসান ববি, মাহফুজুল ইসলাম রাজ, রুমানা আজিজ রিংকি, আলমগীর হোসেন স্বপন, আলতাফুর রহমান মাসুক, কামরুল হুদা উজ্জ্বল, গৌতম কুমার দাস, আব্দুস সালাম, সাজিদুর রহমান শাহিন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, সাবরিনা সরকার পিংকি, মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু, জুলফিকার রহমান শান্ত, রাকিব উদ্দীন সিজার, নুরুজ্জামান সোহেল, রাশেদুজ্জামান রাজন, সজীব সাহা, আল মাহিদুল ইসলাম জয় প্রমুখ।বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনির পরিচালনায় আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এর আগে সকাল ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সন্ধ্যা ৬টায় মুজিব মঞ্চে আলোচনা সভা ও পরে এক মনোজ্ঞ সাস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়।