বাংলাদেশে হঠাৎ বেড়ে গেছে গাঁজার কুশের চালান। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে গাঁজার কুশের একাধিক চালান বাংলাদেশে আসছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দুইটি চক্র এসব নিয়ে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে দুইটি চক্র গাঁজার কুশ নিয়ে আসছে, তার মধ্যে একটির মূলহোতা গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। অন্য আরেকটি চক্রের মূলহোতার পরিচয় এখনো জানতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে এই চক্রের বাহকরা গার্মেন্টসে চাকরি করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা দ্বিতীয় চক্রটির মূলহোতাও গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সঙ্গে জড়িত হতে পারে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে সেখানকার মাদকের ডিলারদের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে চক্রগুলোর। তারা বাংলাদেশে গাঁজার কুশ নিয়ে আসার জন্য এসব ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। যোগাযোগের একপর্যায়ে কুশের অর্ডার দেয় বাংলাদেশি চক্রের সদস্যরা। অর্ডার পাওয়ার পর ডাকযোগে বিভিন্ন খেলনার প্যাকেট কিংবা কাগজের কার্টনে গাঁজার কুশ বাংলাদেশে আসছে।
যেভাবে বাংলাদেশে আসে গাঁজার কুশ
বাংলাদেশে গাঁজার কুশ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে আসছে। গত দেড় থেকে দুই বছর ধরে এই মাদক দেশে আসছে। কখনো খেলনার পার্সেল কিংবা কাগজের কার্টনে করে এই মাদক ডাকযোগে দেশে আসছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে আসা কুশের দুটি চালান জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। প্রতি চালানে ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে এক কেজির উপরে গাঁজার কুশ রয়েছে। তবে চালানে মূল মালিকের নাম থাকে না। বাহকদের ফোন নম্বর ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত এসব কুশের চালান দেশে এসেছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যত গাঁজার কুশের চালান এসেছে, সবগুলো ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এসেছে। আর চালানগুলো নিয়ে আসার পেছনে গার্মেন্টসে চাকরি করে কিংবা গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করে এমন লোকজন জড়িত। জব্দ হওয়া দুটি চালানে দেখা গেছে, একটি চালানের মূল বাহক গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর অন্য একটি চালানের মালিক গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির সঙ্গে জড়িত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সেখানকার মাদক ব্যবসায়ীদের পরিচয় হচ্ছে। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে বেশি টাকা আয়ের আশায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা গাঁজার কুশের পার্সেল নিয়ে আসছেন। এই চক্রের সন্ধান পেতে এবং মূলহোতাদের চিহ্নিত করতে বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিকারককে নজরদারিতে রাখা রয়েছে।
ঢাকার আশপাশের ঠিকানায় আসছে পার্সেল
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত গাঁজার কুশের দুটি চালান তারা জব্দ করেছে। এই দুটি চালান ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এসেছে। তবে তদন্তকারীদের ধারণা এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০টির উপরে গাঁজার কুশের চালান বাংলাদেশে এসেছে। আর সবগুলো চালান এসেছে ঢাকা কিংবা ঢাকার আশপাশের এলাকায়। এসব চালানের বাহকরাও হয়ত ঢাকার নয়ত গাজীপুর অথবা সাভারের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, এখন পর্যন্ত গাঁজার কুশের দুইটি চালান জব্দ হয়েছে। দুটি চালান ঢাকায় এসেছে। তদন্তে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় এই কুশের চালান আসছে।
গাঁজার কুশের গ্রাহক কারা
গাঁজার কুশ খুবই দামি মাদক। এক গ্রাম কুশের আনুমানিক বাজারমূল্য পাঁচ হাজার টাকা। সাধারণত এই মাদক সবার নাগালের মধ্যে নয়। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গাঁজার কুশের তেমন ব্যবহার বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের কিছু কিছু অভিজাত আবাসিক এলাকায় গাঁজার কুশের ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই সংখ্যা নগণ্য।
দেশে যদি এই কুশের ব্যবহার কম হয়, তাহলে এতো চালান কোথায় যাচ্ছে— জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএনসির এক কর্মকর্তা বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত আনুমানিক ১০০টির উপরে গাঁজার কুশের চালান এসেছে। তবে এসব চালানের ব্যবহার দেশে খুব কম দেখা যাচ্ছে। আমাদের ধারণা গাঁজার এই কুশ বাংলাদেশ থেকে পুনরায় আবার অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।
ট্রানজিট হিসেবে কী ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণে গাঁজার কুশ দেশে এসেছে সে পরিমাণে ব্যবহারের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অভিজাত এলাকার কিছু বাসিন্দার এই গাঁজার কুশ ব্যবহারের তথ্য থাকলেও তা অতি নগণ্য।
তাহলে প্রশ্ন জাগছে— দেশে আসা গাঁজার কুশের চালান আসলে কোথায় ব্যবহার হচ্ছে? আর সন্দেহ করা হচ্ছে— কোকেনের মতো গাঁজার কুশের ট্রানজিট হিসেবে কি ব্যবহার হচ্ছে বাংলাদেশ?
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএনসির এক কর্মকর্তা বলেন, যে পরিমাণে গাঁজার কুশ এসেছে দেশে এবং এর দাম ও ব্যবহারের তথ্য বিশ্লেষণ করে ট্রানজিটের বিষয়টি উঠে আসছে। আমাদের ধারণা বাংলাদেশ থেকে গাঁজার কুশ আবার অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে গার্মেন্টস পণ্যের সঙ্গে গাঁজার কুশের চালান ভারত, দুবাই ও চায়নায় যাওয়ার কিছু আলামত মিলছে। তবে এ বিষয়ে আরও তদন্তের পর সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
গাঁজার কুশের দুইটি চালানের তদন্তের বিষয়ে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশনস ও গোয়েন্দা) অ্যাডিশনাল ডিআইজি তানভীর মমতাজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, কুশ বাংলাদেশে ব্যবহার করা হয়। দাম বেশি হওয়ায় অভিজাতরা এই মাদক ব্যবহার করে। তবে আমরা সব বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করছি। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদেরকে নজরদারিতে রেখেছি।
কারা পাঠাচ্ছে গাঁজার কুশ, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাইবে বাংলাদেশ
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, গাঁজার কুশের প্রতিটি চালান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে এসেছে। সেই দেশের কোনো নাগরিক কিংবা সেই দেশে অবস্থানরত অন্য কোনো দেশের নাগরিক বাংলাদেশে ডাকযোগে পার্সেলগুলো পাঠাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই মাদক কারা বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে, সে বিষয়ে তথ্য জানতে চিঠি দেবে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে ডিএনসির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব তাদের দেশ থেকে কারা এই মাদক বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। দূতাবাসের মাধ্যমে সে দেশে জড়িতদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করব।
জব্দ হওয়া গাঁজার কুশের দুই চালান সম্পর্কে যা জানা গেছে
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত অর্থাৎ গাঁজার কুশ, চকোলেট ও কেকের দুইটি বড় চালান সম্প্রতি জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়। গত ২১ ও ২৪ এপ্রিল পল্টনের পুরাতন ডাক ভবনের বৈদেশিক ডাকের সিইডি/ডিসিএল শাখা থেকে ইউএসএ’র ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে আসা দুইটি পার্সেল থেকে এই মাদক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসব ঘটনায় ডিএমপির পল্টন থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দুইটি চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে পার্সেলে করে গাঁজার কুশ দেশে নিয়ে আসছে। এর মধ্যে একটি চক্রের মূলহোতাকে চিহ্নিত করা গেলেও অপর আরেকটি চক্রের মূলহোতাকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে একটি চক্রের মূলহোতাকে চিহ্নিত করা গেলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মূলহোতাদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় অনেকটা থমকে আছে তদন্তকাজ। এখন পর্যন্ত যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা পার্সেলের বাহক। তারা নিজেরাও জানতেন না পার্সেলে কী রয়েছে। তাদেরকে টাকার বিনিময়ে পার্সেল সংগ্রহ করতে বলা হয়।
চক্রের মূলহোতা চিহ্নিত
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পল্টনের পুরাতন ডাক ভবনের বৈদেশিক ডাকের সিইডি/ডিসিএল শাখা থেকে স্কচটেপ মোড়ানো একটি কার্টন জব্দ করা হয়। পার্সেলটি খুলে এতে ৫০০ গ্রাম গাঁজার কুশ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা। পরে পার্সেলে থাকা একটি মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে গাজীপুরের গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. শাহ আলম (৪৮) নামে এক চা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে ডিএনসি।
চা বিক্রেতা মো. শাহ আলম জিজ্ঞাসাবাদে ডিএনসিকে জানিয়েছে, পার্সেলের ভেতর কী আছে, সে জানে না। তাকে কিছু টাকার বিনিময়ে পার্সেলটি সংগ্রহ করতে বলে গাছা থানার বোর্ড বাজার এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ মিরাজ আলী (৪৬)। মিরাজ আলীর নাম আসার পর তাকে গ্রেপ্তারে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তদন্তে জানা যায়, মিরাজ আলী দীর্ঘ দিন ধরে গার্মেন্টস পণ্য বিদেশে রপ্তানির ব্যবসা করে আসছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রেও গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করেন। এই রপ্তানির আড়ালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গাঁজার কুশ দেশে নিয়ে এসেছেন একাধিকবার। তবে তিনি এসব কুশের পার্সেল কখনো নিজের নামে নিয়ে আসতেন না। তিনি মো. শাহ আলমের ফোন নম্বর ব্যবহার করে এসব পার্সেল আনাতেন। এজন্য পার্সেল প্রতি শাহ আলমকে টাকাও দিতো মিরাজ আলী।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিরাজ আলীকে গ্রেপ্তার করা গেলে এই চক্রের বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি আসলে কয়বার এই মাদক দেশে নিয়ে এসেছেন, এ ছাড়া মাদক কোথায় কোথায় বিক্রি করতো, সেসব তথ্যও জানা যাবে জিজ্ঞাসাবাদে।
চক্রের মূলহোতার সন্ধান নেই, থমকে আছে তদন্ত
ডিএনসি সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল পল্টনের পুরাতন ডাক ভবনের বৈদেশিক ডাকের সিইডি/ডিসিএল শাখা থেকে ইউএসএর ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে আসা একটি পার্সেল জব্দ করা হয়। পার্সেলে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনলযুক্ত কুশ, ক্যানাবিস চকোলেট ও ক্যানাবিস কেক জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএনসি। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো.রাসেল মিয়া (২০), রমজান মিয়া (২১) ও মো. ইমরান ওরফে রাজ (২০)। গ্রেপ্তারকৃতরা এই চক্রের বাহক। তাদের দায়িত্ব ছিল পার্সেলটি সংগ্রহ করা।
গ্রেপ্তার রাসেল জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, পার্সেলটি ডেলিভারি নেওয়ার কথা ছিল তার। গ্রেপ্তার রমজান মিয়া তাকে পার্সেলটি টাকার বিনিময়ে রিসিভ করার কথা বলে। পরে রাসেলের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রমজান মিয়াকে আশুলিয়ার আমতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রমজান মিয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তাকে টাকার বিনিময়ে পার্সেলটি রিসিভ করতে বলেন মো. ইমরান ওরফে রাজ। পরে রমজান মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশুলিয়ার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। রমজান ও রাজ একে অপরের বন্ধু।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, এই চক্রের মূলহোতাকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। মূলহোতাকে চিহ্নিত না করতে পারায় আপাতত এই মামলার তদন্ত কাজ থমকে আছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএনসির ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. জিল্লুর বলেন, আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই চক্রের মূলহোতাকে চিহ্নিত করা যায়নি। মূলহোতাকে চিহ্নিত করার কাজ চলমান রয়েছে। মূলহোতাকে চিহ্নিত করা গেলেই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।