বিক্রি হচ্ছে কোরবানির মাংস, কেজি ৬০০ টাকা

Slider সারাদেশ


পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে আজ দেশজুড়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে কেউ কোরবানি দিয়েছেন গরু, কেউবা খাসি। শহরের বিভিন্ন স্থানে কোরবানি দেওয়া গরুর মাংস, মাথা, পা ইত্যাদি সংগ্রহ করে বিক্রি করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। মূলত আর্থিকভাবে অসচ্ছল ক্রেতাদের জন্যই তাদের এ আয়োজন। সংগ্রহ করা এসব মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে।

সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার গিয়ে দেখা যায়, এসব দোকানে মাংসের পাশাপাশি মিলছে মাথা, পা, ভুঁড়ি ইত্যাদি। যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল কিন্তু কোরবানির মাংস খেতে চান, তারা এসে ভিড় জমাচ্ছেন আশেপাশে।

কথা হয় ব্যবসায়ী নূর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, যেসব জায়গায় কোরবানি হয় আমরা সেখান থেকে মাংস, আস্ত পা, মাথা কিনে নিয়ে আসি। পরে এখানে এনে তা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করি। অনেকেই আছেন কোরবানি দিতে পারেন না বা বাজার থেকে মাংস কিনতে পারেন না, তারা আমাদের এখান থেকে মাংস কেনেন।

আরেক বিক্রেতা আব্বাস বলেন, পরিচিত নানান জায়গা থেকে মাংস কিনে এনে আমরা এখানে বিক্রি করি। মোটামুটি কম দামে এখান থেকে কাস্টমাররা তাজা কোরবানির মাংস কিনতে পারেন। এখানে মাংস বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যেই। ৪টা পা একত্রে বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। ফ্যাপসা বা এ জাতীয় জিনিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকার মধ্যেই।

কথা হয় মাংস কিনতে আসা রিকশাচালক ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই কিন্তু মাংস খাইতে মন চায়। তাই এখানে কিনতে এসেছি। বাজারের চাইতে কম দামে এখানে মাংস পাওয়া যায়।

আরেক ক্রেতা পারভেজ একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, এখানে একটু কম দামে তাজা কোরবানির মাংস পাওয়া যায়। তাই কিনতে আসা।

দোকানের পাশাপাশি অনেকে পলিথিনে ভরে মাংস নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য। তবে সেসব মাংসের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।

এমন একজন বিক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, এখানে যেসব মাংস বিক্রি হচ্ছে তাতে মাংসের সাথে চর্বিও থাকে। কিন্তু আমারটা পুরোপুরি মাংস। কোনো চর্বি বা হাড্ডি নেই। তাই দাম ৭০০ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *