দিনাজপুর হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিক্রি না হয়ে পড়ে আছে গুদামে। পেঁয়াজগুলো বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
হিলি আরএসবি এন্টারপ্রাইজের আমদানিকারকের গুদামে গিয়ে দেখা যায়, গত ১৫ মে ভারত থেকে একটি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেন এই প্রতিষ্ঠান। আমদানিকৃত পেঁয়াজ রাখা হয়েছে গুদামে। গুদামে ফ্যান চালিয়ে ঠান্ডা রাখা হচ্ছে। তবে এসব পেঁয়াজ খুব কম সময়ের মধ্যে বিক্রি না হলে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে বড় ধরনের লোকসানে পড়বেন অনেকে।
হিলি আরএসবি এন্টারপ্রাইজের আমদানিকারক আহম্মেদ সরকার বলেন, ১৪ মে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে নাসিক জাতের ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করি। পেঁয়াজ আমদানি করতে ভারত সরকারের বেধে দেওয়া শুল্কের ৪০ শতাংশ হারে ৫ লাখ ৪৬ হাজার ১৬০ রুপি পরিশোধ করতে হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রতি কেজিতে প্রায় ২৫ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানিতে বাংলাদেশে প্রতি কেজিতে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা শুল্ক দিতে হয়েছে। আর ভারতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা পড়েছে প্রায় ৩০ টাকা। সেই হিসাবে সব খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে প্রায় ৬২ টাকা খরচ পড়েছে। আর বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারে দেশি জাতের পেঁয়াজ এখন ৬০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে এখন কেনা দামে পেঁয়াজ বিক্রির ক্রেতাও পাচ্ছি না। দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সমান থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। আট দিন ধরে গুদামে পেঁয়াজ পড়ে আছে। ফ্যানের বাতাস দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, গত ১৪ মে ভারত থেকে একটি ট্রাকে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য ৪০টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৪৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।