এ যেন পুরনো ঝটিকা রাজনীতিই। গত কয়েক বছরে যা অনেকটা ট্র্যাডিশনেই পরিণত হয়েছে। কোন একটি কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং অথবা বিবৃতির মাধ্যমে বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করবে। নেতারা যথারীতি কর্মসূচির দিনে ব্যক্তিগত কাজে অথবা বাসায় বিশ্রামে সময় কাটাবেন। কর্মীরা কোথাও কোথাও ঝটিকা মিছিল বের করবেন। কয়েকটি জেলায় বড় বড় মিছিল হবে। পুলিশের বাধা আর পিটুনির শিকার হবেন তারা। গ্রেপ্তারও হবেন কেউ কেউ।
তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচিতেও তেমন কোন ব্যতিক্রম হয়নি। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির তিনশ’র বেশি নেতার কেউ কেউ কারাগারে। বেশির ভাগই মুক্ত। তাদের কাউকেই গতকাল রাজপথে দেখা যায়নি। ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারাও যথারীতি রাজপথে অনুপস্থিত ছিলেন। মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস দীর্ঘদিন থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। ছাত্রদল কয়েকটি জায়গায় মিছিল করেছে। গলির ভেতরে এসব মিছিলে কর্মী সংখ্যা ছিল একেবারেই স্বল্প। বরিশালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আরও কয়েকটি জেলাতেও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছেন।
অনেক সময় নিয়ে তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে মিছিল আর সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এ কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও অবশ্য কম নাটকীয়তা হয়নি। ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকের পরে কর্মসূচির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে প্রথম শনিবার বিক্ষোভের কথা বলা হয়। কয়েক ঘণ্টা পরেই সংশোধনী আসে। জন্মাষ্টমীর কারণে কর্মসূচি পিছিয়ে দেয়া হয় একদিন।
কর্মসূচি ঘোষণা করে নেতাদের বিশ্রামের রাজনৈতিক কৌশলের তীব্র সমালোচনা হলেও বিএনপি নেতাদের এ ব্যাপারে কোন বোধোদয় হওয়ার ইঙ্গিত মিলে না। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের অকার্যকর কর্মসূচি ঘোষণা রাজনীতির ময়দান থেকে ক্রমশ বিএনপির গুরুত্ব আরও কমিয়ে দেবে। আইআইআরই’র জরিপের ফল বিএনপি নেতারা মানতে না চাইলেও রাজনীতির অনেক বৈশিষ্ট্যই ওই রিপোর্টে পরিষ্কার হয়েছে। এতে রাজনীতির ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ হারানোর বিষয়টি যেমন প্রকাশিত হয়েছে তেমনি স্পষ্ট হয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও।
তবে বহুদিন ধরেই বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, তারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন না। দলটির বক্তব্য, তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুম এবং ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে অনেককে। বহু নেতাকর্মীকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। রাজপথে নামলেই পুলিশের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও গতকাল বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিবাদ করার মতো পরিবেশ নেই। কুমিল্লায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ বাকস্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিবাদ করলে লাশ পাওয়া যাবে রাস্তায়। প্রতিদিন মানুষ নিগৃহীত হচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, অনেকে তাদের এসবের দাম বাড়াতে বারণ করেছেন। তারা কারও কথা শোনে না। জনগণের চোখের পানি এ সরকার বোঝে না। এর জন্য এ সরকারকে একদিন জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হেলে পড়েছে। কোথাও কোন আইনশৃঙ্খলা নেই।
তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কর্মসূচিতেও তেমন কোন ব্যতিক্রম হয়নি। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির তিনশ’র বেশি নেতার কেউ কেউ কারাগারে। বেশির ভাগই মুক্ত। তাদের কাউকেই গতকাল রাজপথে দেখা যায়নি। ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতারাও যথারীতি রাজপথে অনুপস্থিত ছিলেন। মহানগর কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস দীর্ঘদিন থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। তার অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। ছাত্রদল কয়েকটি জায়গায় মিছিল করেছে। গলির ভেতরে এসব মিছিলে কর্মী সংখ্যা ছিল একেবারেই স্বল্প। বরিশালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আরও কয়েকটি জেলাতেও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা মিছিল করেছেন।
অনেক সময় নিয়ে তেল-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে মিছিল আর সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এ কর্মসূচি ঘোষণাকে কেন্দ্র করেও অবশ্য কম নাটকীয়তা হয়নি। ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকের পরে কর্মসূচির ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে প্রথম শনিবার বিক্ষোভের কথা বলা হয়। কয়েক ঘণ্টা পরেই সংশোধনী আসে। জন্মাষ্টমীর কারণে কর্মসূচি পিছিয়ে দেয়া হয় একদিন।
কর্মসূচি ঘোষণা করে নেতাদের বিশ্রামের রাজনৈতিক কৌশলের তীব্র সমালোচনা হলেও বিএনপি নেতাদের এ ব্যাপারে কোন বোধোদয় হওয়ার ইঙ্গিত মিলে না। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের অকার্যকর কর্মসূচি ঘোষণা রাজনীতির ময়দান থেকে ক্রমশ বিএনপির গুরুত্ব আরও কমিয়ে দেবে। আইআইআরই’র জরিপের ফল বিএনপি নেতারা মানতে না চাইলেও রাজনীতির অনেক বৈশিষ্ট্যই ওই রিপোর্টে পরিষ্কার হয়েছে। এতে রাজনীতির ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ হারানোর বিষয়টি যেমন প্রকাশিত হয়েছে তেমনি স্পষ্ট হয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও।
তবে বহুদিন ধরেই বিএনপি নেতারা বলে আসছেন, তারা নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন না। দলটির বক্তব্য, তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গুম এবং ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে অনেককে। বহু নেতাকর্মীকে চিরতরে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। রাজপথে নামলেই পুলিশের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও গতকাল বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিবাদ করার মতো পরিবেশ নেই। কুমিল্লায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ বাকস্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিবাদ করলে লাশ পাওয়া যাবে রাস্তায়। প্রতিদিন মানুষ নিগৃহীত হচ্ছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, অনেকে তাদের এসবের দাম বাড়াতে বারণ করেছেন। তারা কারও কথা শোনে না। জনগণের চোখের পানি এ সরকার বোঝে না। এর জন্য এ সরকারকে একদিন জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হেলে পড়েছে। কোথাও কোন আইনশৃঙ্খলা নেই।