আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামিল হাসান দুর্জয়ের মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৫ মে) নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়ন বাতিল করে।
জানা গেছে, বারবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা অধিশাখা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান ১৩ মে স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রার্থীকে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়।
জামিল হাসান দুর্জয় প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রহমত আলীর ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার ছোট বোন রুমানা আলী টুসি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার দুর্জয়কে চিঠি দিয়ে আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনে তলব করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে তার প্রার্থিতা বাতিল এবং আইনানুগ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে। ঘোড়া প্রতীকে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনি গত ২১ এপ্রিল শোভাযাত্রাসহ শোডাউন করলে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরে আপনি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরবর্তী সময়ে ২৭ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের আগেই সাবাহ গার্ডেনে ৪০০ কর্মী নিয়ে জনসভা করার চেষ্টা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত আপনার উপস্থিতিতে আপনার কর্মী আক্তার হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদ- দেন।
গত ৭ মে নগরহাওলা গ্রামে বিনা অনুমতিতে ১ হাজার কর্মী নিয়ে জনসভা ও দুপুরের খাবারের আয়োজন করলে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাইখা সুলতানার ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনার কিছু সময় পর একই স্থানে পুনরায় সভা হচ্ছে এমন খবরে আবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত হাজির হন। সে সময় আপনাকে বক্তৃতারত পাওয়া যায়। পুনরায় সেখানে ১ হাজার কর্মী-সমর্থক পাওয়া যায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সে সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করলে আপনি এবং আপনার সমর্থকরা সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা ও হুমকি প্রদান করেন। তাৎক্ষণিক শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটসহ তাদেরও হুমকি প্রদান এবং অশোভন আচরণ করে মিছিলযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন, যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচী আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।