রাজধানী ঢাকাকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ঠান্ডা বাতাসে শীতল করে অবশেষে নেমেছে বৃষ্টি। এর আগে, প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল নগরবাসী।
রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বাতাস বইতে থাকে। ফলে নগরের তাপমাত্রা কিছুটা প্রশমিত হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। শুধু বৃষ্টি নয়, বৃষ্টির সঙ্গে আকাশ থেকে ঝরছে শিলা। অর্থাৎ মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টির অভিজ্ঞতা নিচ্ছে নগরবাসী।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থাকা ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদকেরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে সেগুনবাগিচা, তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও বাড্ডাসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় একসঙ্গে শিলাবৃষ্টি হচ্ছে।
ঠিক এই মুহূর্তে রাজধানীতে কী পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা পোস্টকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ তথ্য পেতে আরও ঘন্টাখানেক সময় লাগবে।
এর আগে, সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ জায়গায়ই বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হবে। আর যেসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটিও প্রশমিত হবে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছিল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।
এছাড়া, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অধিকাংশ জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। ফলে সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলায় ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহে। ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোণায়, সিলেটে হয়েছে ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।