জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি সম্মেলনস্থলেই ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম দলীয় প্রধানের উদ্দেশ্যে বলেন, সম্মেলনের পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ৪৫ দিনের মতো সময় দেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ কমিটি এই সময়ের মধ্যে করা হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে করণীয় কী?
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে সম্মেলন হবে সেখানেই (সম্মেলনস্থলে) কমিটি গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে ওখানে দুই দিন থেকে হলেও কমিটি ঘোষণা করে আসতে হবে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা জানান, বৈঠকে মূলত আমাদের দল প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর বর্ণাঢ্যভাবে পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে দলের নির্ধারিত বিভিন্ন কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয়প্রধান।
বৈঠক শেষে গণভবনের সামনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বছর আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি জাঁকজমকভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্মদিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তার আগে সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভা শুরু হয়।শুরুতেই দলের প্রধান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সেসময় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে। যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়। কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না। বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না, এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরউল্লাহ এবং সিনিয়র সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।