লেবাননভিত্তিক ইরান-সমর্থিত সংগঠন হিজবুল্লাহ ইসরাইলের একটি সামিরক কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে। নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে এই সমন্বিত হামলাটি চালানো হয় আরব আল-আরামশির সামরিক পর্যবেক্ষণ কমান্ড সেন্টারে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তকে টার্গেট করার প্রেক্ষাপটে এই হামল চালানো হলো।
গ্রুপটি হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে বলেছে, দক্ষিণ লেবাননের আইন বাল এবং শেহাবিয়ায় বেশ কয়েকজন প্রতিরোধ যোদ্ধাকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলাটি চালানো হয়েছে।
ইসরাইলি মিডিয়া আউটলেটগুলো জানায়, একটি কামিকাজ ড্রোন পশ্চিম গ্যালিলির আরব আল-আরামশিতে সেনাসমাবেশে আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ছয়জন হতাহত হয়েছে।
ইসরাইলি মিডিয়ার খবরে আরো বলা হয়, আরব আল-আরামশিতে আহতদের উদ্ধারের সময় একটি ইসরাইলি সেনা হেলিকপ্টারো আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
নাহারিয়ার গ্যালিলি মেডিক্যাল সেন্টার জানায়, তারা অন্তত ১৪ জন আহতকে পেয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে হিজবুল্লাহ নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে। নিরাপত্তা সূত্র অনুযায়ী, হিজবুল্লাহ এখন বিস্ফোরক ডিভাইজ দিয়ে সীমান্তের ইসরাইলি সৈন্যদের টার্গেট করছে। গত সপ্তাহে তারা এই কৌশলে গেলানি ব্রিগেডের চার সদস্যকে আহত করেছে।
সূত্র জানায়, ইসরাইলি সৈন্যদের সরাসরি টার্গেট করার মাধ্যমে হিজবুল্লাহ সঙ্ঘাতকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
ইসরাইলি বাহিনী সাথে সাথে সীমান্ত এলাকায় বোমা এবং ফসফরাস বোমা ফেলে জবাব দিয়েছে।
এসব অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে রাচিয়া আল-ফেকার, ফারদিস, আল-হবারিয়া, আলমা আল-শাব, ধাহিরা, মারওয়াহিন, এবং ইয়ারিন। এছাড়া নাবাতিয়ে নগরীও রয়েছে। এখানে সৈয়দ পরিবারের বাড়িটি পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।
এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্ত অঞ্চলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হত্যার বিষয়টি দেখেছে।
হিজবুল্লাহ তাদের সিনিয়র কমান্ডার ইসমাইল ইউসেফ বাজ এবং হিজবুল্লাহর মিত্র আমল মুভমেন্টের হোসাইন কাসিম কারশতের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে।
ইসরাইলি মিডিয়া জানিয়েছে, এক ড্রোন হামলায় বাজকে তার গাড়িতে হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন হিজবুল্লাহর উপকূলীয় সেক্টরের কমান্ডার।
এতে আরো বলা হয়, তিনি লেবানন উপকূলীয় এলাকা থেকে ইসরাইলে রকেট এবং ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ইসরইলের বিরুদ্ধে হামলার বেশ কয়েকটি ছক কষেছিলেন।
সূত্র : আরব নিউজ