মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই বাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কাউন্সিলে পাঠান। তারপর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকে সেটা কেউ অভিযোগ করলে বা মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে সেগুলো বাতিল করা হবে। প্রমাণ হওয়ায় ভুয়া আট হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভুয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যুগে প্রতারণা করা সহজ। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য থাকলে সেগুলো যাচাই বাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বুধবার (১৭ এপ্রিল) মেহেরপুরে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশের পূর্বে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশর প্রথম সরকার। ৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের ধারাবাহিকতায় আজকের এই সরকার। মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কিছু অবজারভেশন আছে। তিনি কিছু মতামত ব্যক্ত করেছেন। সেটা দিয়েছেন। এটা যাতে আন্তর্জাতিক মানের করা যায় সে বিষয়ে তিনি বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘সর্বস্তরের অংশীদারদের নিয়ে সভা করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রকল্পটা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই একনেকে তোলা হবে। একনেকে অনুমোদন করার পরই দ্রুতই কাজ শুরু হবে। আগামী ১৭ এপ্রিলের পূর্বেই মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য একটি কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে।’
এ সময় রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খাইরুজ্জামান লিটন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমিসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনা মঞ্চে চলছে জনসভা।