সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩ গ্রামের তিন সহস্রাধিক মানুষ। বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, মাইটকোমড়া, ভুলবাড়িয়া, রাখালতলী, বারাংকুলা, দড়ি সহস্রাইল এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ মোট ১৩টি গ্রামের বাসিন্দারা ঈদ উদযাপন করছেন। এ উদ্যোগে বর্তমানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নের কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মাহিদুল হক।
মাহিদুল হক জানান, পূর্বপুরুষ থেকে তারা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার মির্জাখিল পীরের তরিকাপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পীর হযরত ইয়াছিন আলীর (রহ.) অনুসারী। যারা মির্জাখিল পীরের অনুসারী তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকেন।
তিনি বলেন, ফরিদপুরের এই দুটি উপজেলার সব মিলিয়ে হাজার তিনেক মানুষ আছেন যারা আমরা চট্টগ্রাম পীরের অনুসারী।
মাহিদুল হক বলেন, আগে এ দুটি উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ এভাবেই রোজা রাখা ও ঈদ উৎসব পালন করতো। তবে নতুন প্রজন্মের অনেকে এ নিয়ম মানতে চায় না। ফলে অনুসারীদের সংখ্যা কমে আসলেও আমরা এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় শতাধিক বছর ধরে ফরিদপুরের বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ওই গ্রামেরগুলোর বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন
বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল আহমেদ বলেন, আমার জন্মের আগে থেকেই এই এলাকায় এমন প্রচলন রয়েছে। আমরা যারা নিজেরা চাঁদ দেখে রোজা ও ঈদ পালন করি আমাদের সাথে তাদের কোনো বিবাদ নেই। তারা তাদের বিশ্বাস থেকে এ কাজটি করেন। আমরা আমাদের মত রোজা ও ঈদ করি।
জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল দায়রা জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আলফাডাঙ্গা উপজেলার ওই কয়টি গ্রামের মুসল্লিরাও সহস্রাইল এসে নামাজ আদায় করেন। এতে শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। এছাড়া সকাল ১০টার দিকে একই উপজেলার রাখালতলী গ্রামের মসজিদ এবং মাইটকুমড়া গ্রামের মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।